আজ : শনিবার ║ ১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : শনিবার ║ ১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

‘অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের দিকে তাকিয়ে আছি’

দেশচিন্তা ডেস্ক:

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে ডিজিটাল সহযোগিতায় একটি শক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনের সাইডলাইনে, ‘ডিজিটাল সহযোগিতা: ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অ্যাকশন টুডে’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের এক ভার্চুয়াল ইভেন্টে তিনি এসব কথা বলেন।

আগেই ধারণকৃত ভিডিও বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারি ডিজিটাল পরিসেবার শক্তি উন্মোচন করেছে। বিশ্বের অর্ধেক জনগোষ্ঠীই যে ইন্টারনেটের সুবিধাবঞ্চিত, সে শূন্যতা পূরণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০৩ দশমিক ৪৮ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। আমাদের ডিজিটালাইজেশন জনগণকে চেঞ্জমেকার হওয়ার বিশাল সুযোগ এনে দিয়েছে। আমরা অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে একটি শক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের দিকে তাকিয়ে আছি।’

এ সময় দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে ডিজিটাল অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠা করতে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলেও জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।

বিশ্বে ডিজিটাল সেবার শক্তি কতটা, তা কোভিড-১৯ মহামারিতে প্রকাশ পেয়েছে উল্লেখ করে ভিডিও বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে উদীয়মান চাকরির বাজার বিবেচনা করে সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে সব মাধ্যমিক স্কুলে ডিজিটাল অ্যাকাডেমি এবং সেন্টার অব এক্সিলেন্স প্রতিষ্ঠা করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি ডিজিটাল সেবার শক্তি প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে বিশ্বে ডিজিটাল বৈষম্য উন্মোচন করেছে। বিশ্বের অর্ধেক মানুষই মৌলিক ইন্টারনেটে প্রবেশ করতে পারছে না। আমাদের অবশ্যই এই বৈষম্য দূর করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল কানেক্টিভিটির মাধ্যমে অর্থনৈতিক বিকাশকে সহজতর করা, নারীর ক্ষমতায়নসহ সমাজ পরিবর্তন করা আমাদের লক্ষ্য। এটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বাস্তবায়ন এবং কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তা করবে।’

২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা আমাদের তরুণদের দিনবদলের এই যাত্রার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনেরিয়েটা ফোর এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিউ) মহাসচিব হলিন ঝাওয়ের যৌথ আমন্ত্রণে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ