
দেশচিন্তা ডেস্ক:
শ্রীলঙ্কা সফরকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের জোর প্রস্তুতি চলছে। ক্রিকেটাররা জুলাই থেকে একক অনুশীলন করলেও এই সপ্তাহ থেকে কোচদের অধীনে দলগত অনুশীলন করছেন ক্রিকেটাররা। লঙ্কা স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া শর্তানুযায়ী, এই সফর এখন পর্যন্ত ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে। তারা স্পষ্ট করে এখনো কিছু জানায়নি। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কা সফর না হলেও ক্রিকেটারদের অনুশীলন চলবে।
আজ বুধবার বিকেলে বিসিবি প্রধান নির্বাহী মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বলেন, ‘আমাদের কিছু অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনা তো আছেই অবশ্যই। যদি আমরা এই সিরিজ নিয়ে পরিকল্পনা না করি তাহলে আমাদের অন্য পরিকল্পনা তো আছেই। সেক্ষেত্রে আমরা খেলোয়াড়দের অনুশীলনটা কন্টিনিউ করব। আমি আবারো বলছি, আমাদের যে অনুশীলন বা অন্যান্য সেশনগুলো যেভাবে চলছে সেভাবে আমরা কন্টিনিইউ করব।
করোনাভাইরাসের কারণে চার মাস ঘরবন্দী ছিলেন ক্রিকেটাররা। জুলাই থেকে আবারো ক্রিকেট চর্চা শুরু হয় দেশে। বিসিবির তত্ত্বাবধানে জাতীয় দলের কয়েকজন ক্রিকেটার একক অনুশীলন শুরু করেন। কোরবানীর ঈদের পর সে সংখ্যাটা বাড়ে। এরই মাঝে শ্রীলঙ্কা সফর নিশ্চিত হলে বিসিবির ব্যস্ততা বেড়ে যায়। শ্রীলঙ্কা সফর সামনে রেখে পরিকল্পনা সাঁজাতে থাকে বোর্ড। যদিও সম্প্রতি হুমকির মুখে পড়েছে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফর।
দ্বীপরাষ্ট্রে পৌঁঁছানোর পর টাইগারদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে এমনটাই চাইছে ক্রিকেট শ্রীলঙ্কা। এটা সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয় থেকে বলা হয়েছে । কিন্তু বিসিবি তাতে রাজি নয়। আর এ নিয়েই সমস্যা বেধেছে। যদিও এসএলসি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে কোয়ারেন্টিন শিথিল করার জন্য অনুরোধ করেছে। এখনো তারা নিদৃষ্ট কোনো উত্তর পায়নি।
বিসিবি প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘সর্বশেষ যে পরিস্থিতি সেটা হলো যে আমরা স্পেসিফিক কিছু বিষয় তাদের কাছে জানিয়েছি এবং বিষয়গুলো নিয়ে তারা যেটা বলেছেন তাদের যে কোভিড টাস্কফোর্স আছে, বা অন্যান্য যেই অথরিটি আছে তাদের সঙ্গে কথা বলে, তাদের যে স্বাস্থ্যবিধি রয়েছে সেটি কতটুকু শিথিল করা যায় তা নিয়ে কাজ করছে। তো আমরা আশা করছি শিগগিরই এই বিষয়গুলো নিয়ে তারা আমাদের জানাতে পারবেন। আমি মনে করি শ্রীলঙ্কা বোর্ডও যেহেতু এখন কিছু বলছে না তাই এটা আমাদের মধ্যেই থাক। বিষয়টি পাবলিকলি আমি বলতে চাচ্ছি না।’
তবে বিসিবি সিইও জানালেন তারা পরিকল্পনানুযায়ী এগোচ্ছেন। তবে ২৭ তারিখ শ্রীলঙ্কা যাওয়ার যে কথা ছিলো তা না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যেহেতু আমরা পাইনি, কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি এবং সব কিছু ২৭ তারিখকে ধরেই এগোচ্ছি। তবে এই মুহূর্তে বিষয়টা একটু চ্যালেঞ্জিং হবে ২৭ তারিখে যাওয়াটা। ভিসা এবং অন্যান্য জটিলতা তো রয়েছেই। সেক্ষেত্রে যদি কোনো অ্যাডজাস্টমেন্টের দরকার হয়, তাহলে আমরা তা করে নেব।’