আজ : শুক্রবার ║ ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : শুক্রবার ║ ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২৬শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ১১ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

পটুয়াখালীতে ছাত্রীকে মেরে হাড় ভেঙে ফেলার অভিযোগ

দেশচিন্তা ডেস্ক : পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌরসভায় জান্নাতুল ফেরদৌসী (১১) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে মেরে হাতের কুনুই-এর হাড় ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ প্রতিদিন

শিশু জান্নাতুল বর্তমানে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। সে গলাচিপা পৌরসভার আরামবাগ এলাকার ইউনুছিয়া কারিমিয়া মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।

নির্যাতনের শিকার শিশুটির মা হাসিনুর বেগম জানান, গত ফাল্গুন মাসে গলাচিপা পৌরসভার আরামবাগ এলাকার মাওলানা মাসুদুর রহমান পরিচালিত ইউনুছিয়া কারিমিয়া মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসায় কোরআন পড়ার জন্য তার শিশুকে ভর্তি করানো হয়। গত ১৭ দিন আগে জান্নাতুল কোরআন মুখস্ত পড়া না পারায় একজন নারী শিক্ষিকা জান্নাতকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। এরপর জান্নাতকে পরিবারের কারও সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগ করতে দেয়নি।

এদিকে, কয়েকদিন কথা না বলতে পেরে জান্নাতের ভাই নাঈম বোনকে দেখতে আসে। ভাইকে দেখে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিয়ে জান্নাত জানায়, তার (জান্নাতের) হাত ব্যথা করছে এবং ফুলে রয়েছে। পরে তাকে ৩০ আগস্ট প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গলাচিপায় এক আত্মীয়ের বাড়ি রাখা হয়। সেখানে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শুক্রবার দুপুরের দিকে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয় জান্নাত বলে, ‘আমি পড়া মুখস্ত দিতে পারি নাই। মাসুদ হুজুরের বউ (নাম জানা নাই) আমারে লাঠি দিয়া পিটাইয়া হাতে ব্যথা দিছে। রাইতে ব্যথার কতা কইলে আমারে ডর দেহাইয়া কইছে, এই কতা কেউর ধারে কইলে আবার মারমু।’

ইউনুছিয়া কারিমিয়া মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসার পরিচালক ও শিক্ষক মাওলানা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘মহিলা মাদ্রাসার সকল শিক্ষিকারা পর্দানশীল। অন্য পুরুষের সাথে কথা বলবে না। আর জান্নাতকে নির্যাতন করা হয়নি। আমি জান্নাতের হাতের ব্যথার কথা দুদিন আগে জানতে পেরে ওষুধ দিয়েছি। পরিবারের কাছে খবর দিয়েছি।’

গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘জান্নাতের বাঁ হাতের কুনুইয়ের হাড় ভেঙে গেছে। চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দু’একদিন পর রোগীর শারীরিক অবস্থা বলা যাবে।’

এ বিষয়ে গলাচিপা থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি আমার আগে জানা ছিল না। হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে খবর নিচ্ছি।’

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ