
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পর অনেকই পরিবার নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এখনও সেভাবে রাঙামাটির পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোয় তেমন ভিড় দেখা যায়নি। এ বিষয়ে রাঙামাটির জেলা প্রসাশক একেএম মামুনুর রশিদ বলেছেন, ‘করোনো সর্তকতা হিসেবে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে। এই বন্ধে কেউ যেন ছুটি কাটাতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় না আসেন সবাইকে সেই অনুরোধ করবো। সবার সর্তকতার মাধ্যমে এই রোগের প্রাদুর্ভার থেকে দেশকে মুক্ত করতে চাই।’
এদিকে, রাঙামাটিতে সর্তকতা হিসেবে আরও ৫ প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগ। সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মোস্তফা কামাল জানান, ১৪ মার্চ এক স্পেন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। নতুন করে আরও পাঁচ জনসহ মোট ছয় জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রবাসীদের কারও জ্বর বা সর্দি নেই। তারপরও সর্তকতা হিসেবে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, রাঙামাটি সরকারি কলেজের নতুন একাডেমিক ভবনের ৫০ শয্যা, জেলা পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা কেন্দ্রে ৫০ শয্যা ও কাপ্তাইয়ে ৫০ শয্যার নতুন হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।