
সরকারি নিষেধাজ্ঞার পরও গাজীপুরের দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান করেছে। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আসতে বাধ্য করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকেরা।
প্রতিষ্ঠান দু’টি হলো বাংলাদশে ধান গবষেণা ইনস্টটিউিট (ব্রি) উচ্চ বিদ্যালয় ও ব্রি প্রগতি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
অভিভবাক ও স্থানীয়রা জানান, ১৭ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে সমবেত হতে শুরু করে। বিদ্যালয়ের তিন তলার একটি শ্রেণিকক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল ৯টার দিকে ওই কক্ষে ১০০ পাউন্ডের একটি কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানের সময় অভিভাবক বিদ্যালয়ের বাইরে ছিলেন।
অভিভাবকেরা বলেন, সরকারি নির্দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হলেও এখানে সে নির্দেশ মানেনি। প্রধানমন্ত্রীও বর্তমান অবস্থায় শিক্ষার্থীদের বাইরে যেতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের কারণে ভয়ে ভয়ে সন্তানদের নিয়ে স্কুলে এসেছেন। তারপরও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য শিক্ষার্থীদেরকে কোনও নির্দেশনা বা হাত ধোয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।বিদ্যালয়ের বেসিনে সাবানও ছিল না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা বলেন, ১৬ মার্চ সোমবার শিক্ষার্থীদের স্কুলে সকাল ৭টায় উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় সব শিক্ষার্থীরাই বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শাখার প্রধান শিক্ষক বেলায়েত হোসেন বলেন, অনুষ্ঠানটি আগেই আয়োজন করা হয়েছিল। এজন্য অল্প সময়ের মধ্যে শেষ করে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর বলেন, সরকারি নির্দেশনা পাওয়ার আগেই অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সরকারি সিদ্ধান্ত যখন পেয়েছি তখন বিকাল হয়ে গিয়েছিল। ততক্ষণে স্কুল ছুটি হয়ে গিয়েছিল। সংক্ষিপ্ত পরিসরে অনুষ্ঠানটি করা হয়েছে।
গাজীপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা বলেন, ‘জেলা প্রশাসক বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠানটির কথা আমাকে অবহিত করে খোঁজ নিতে বলেন। আমি তাৎক্ষণিক খোঁজ নিয়ে জানতে পারি। ততক্ষণে তারা অনুষ্ঠানটি শেষ করে ফেলেছে।’ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্ধের নির্দেশনাটি একটু দেরি করে পাওয়ায় তারা সব শিক্ষার্থীকে জানাতে পারেননি। তাই শিক্ষার্থীরা চলে আসায় অল্প সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়েছে। এ কাজটি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঠিক করেনি। এ ক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।