
চট্টগ্রামে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের (ইউসিবিএল) একটি শাখায় দুর্বৃত্তরা ভল্ট ভাঙার চেষ্টা করেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে ভল্টের টাকা লুট হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিষয়টি নজরে আসে বলে জানিয়েছে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ।
চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানহাট এলাকায় ইউসিবিএল-এর কদমতলী শাখায় এ ঘটনা ঘটে। বায়তুশ শরফ জিলানী মার্কেটের পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ওই ব্যাংকের একটি শাখা রয়েছে। ওই ভবনের নিচতলায় মেশিনারিজ সামগ্রীর কয়েকটি দোকান আছে। চতুর্থ তলায় মেটলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির অফিস। সম্প্রতি দুই ব্যক্তি পঞ্চম তলায় একটি এনজিও’র অফিস করার কথা বলে ভাড়া নিয়েছিলেন। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক।
সদীপ কুমার বলেন, শনিবার দুপুরে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে ব্যাংকের ফটকে লাগানো তিনটি তালা কাটা অবস্থায় এবং একটি নতুন তালা লাগানো দেখতে পায়। এছাড়া শনিবার দুপুরের শিফটের নিরাপত্তাকর্মী কর্মী নওশাদ মিয়াকে (৪৩) প্রায় অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নওশাদ কোনও তথ্য দেওয়ার মতো অবস্থায় ছিলেন না। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শনিবার বিকালে সিআইডির ক্রাইম সিন টিম ব্যাংকের গেটে দুর্বৃত্তদের লাগানো তালা কেটে ভেতরে প্রবেশ করেন। ব্যাংকের ভেতরের সব আসবাবপত্র অক্ষত ছিল। তারা ভল্ট খোলার চেষ্টার প্রমাণ পেয়েছেন। তবে ভল্ট আদৌ খুলতে পেরেছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ নির্ধারিত চাবি দিয়ে পুলিশ ভল্ট খুলতে পারেনি। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের এক্সপার্ট টিম ভল্ট খুললে জানা যাবে টাকা লুট হয়েছে কিনা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি-পশ্চিম) ফারুকুল হক বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমরা বুঝেছি দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে ব্যাংক লুট করার চেষ্টা করেছিল। তাদের চেহারা যাতে শনাক্ত না হয় সেজন্য ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডারের (ডিভিআর) হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে গেছে। যাওয়ার সময় ক্যামেরাগুলো বাঁকা করে রেখে যায়। এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত সেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। ভবনটির ৫ তলায় এনজিও অফিস করার কথা বলে দু’জন ভাড়া নিয়েছিল। ঘটনার পর থেকে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পৃক্ততা আছে কিনা খতিয়ে দেখছি। ব্যাংকের ভেতরে-বাইরের কেউ জড়িত কিনা, ভবনের মালিকের কোনও ত্রুটি আছে কিনা সব কিছু আমরা তদন্ত করে দেখবো।’