লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মান্নান ভূঁইয়াকে হত্যার দায়ে তিন জনের মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শাহেনূর এ রায় দেন। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন এ তথ্য জানান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো—কফিল উদ্দিন, আবদুর রহমান ও মো. জয়নাল। যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামিরা হলো—মো. জুলফিকার, খোরশেদ আলম, ইয়াসিন আরাফাত রাফি, মো. মুক্তার ও মো. শাহজালাল।
পিপি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা মান্নান হত্যা একটি নৃশংস ঘটনা। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামি কফিল উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিল। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে।’
আসামি পক্ষের আইনজীবী একেএম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামিদের মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। হত্যার সঙ্গে আসামিরা জড়িত আছে বলে আদালতে প্রমাণ হয়নি। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।’
আদলত সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডের শিকার আবদুল মান্নান ভূঁইয়া সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ২০১৪ সালের ২১ মে রাতে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে মান্নানকে জবাই করে হত্যা করা হয়। রাতেই বাড়ির পাশে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এর চার দিন পর নিহতের স্ত্রী আঞ্জুম আরা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ২ জুন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত করে আট জনের বিরুদ্ধে আদলতে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন।