চট্টগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা, চট্টলদরদি, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বারবার নির্বাচিত সাবেক সফল মেয়র, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, আওয়ামী লীগের দুর্দিনের সাহসী সৈনিক ও চট্টলবীর আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে মরনোত্তর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে স্বাধীনতা পদক- ২০২০ দেয়ার দাবীতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিবেদিত জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ডিজিটাল বাংলাদেশ পাবলিসিটি কাউন্সিল সম্প্রতি চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপি গ্রহণকালে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা বলেন, চট্টলবীর আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রাম আপামর জনসাধারণ এবং গণমানুষের আশা-ভরসার প্রতীক। তিনি একাধারে নির্যাতিত নিপিড়ীত মানুষের অকৃত্রিম বন্ধুও ছিলেন। তাঁর কাছে গেলে কোন মানুষ খালি হাতে ফিরতেন না। মহিউদ্দিন চৌধুরীর মতো ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পদক প্রদান করতে পারলে বাঙালী জাতি গৌরবান্বিত হবে এবং চট্টগ্রামবাসী আনন্দিত হবে।
এসময় সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিসংগ্রাম, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতি, স্বাধীন বাংলাদেশ পূনর্গঠন, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণ, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় এবং আপনার লালিত স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে চট্টগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা চট্টলবীর আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অবদান আপনার অজানা নয়। তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন আপোষহীন ও সাহসী ব্যক্তিত্বের নাম। পদ-পদবী, ক্ষমতা ও অর্থের মোহে চট্টলবীর আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী কখনো নিজেকে বিলিয়ে দেন নি। আজীবন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চট্টগ্রামের মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
এসময় নেতৃবৃন্দরা আরো উল্লেখ করেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর তিনি সাহসী ও বীরত্বপূর্ণ প্রতিবাদের মধ্যদিয়ে চট্টগ্রাম থেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেন এবং বিভিন্ন মিছিল মিটিং করেন। তাঁর দুঃসাহসী এই ভূমিকা ইতিহাসে স্মরণীয়। পরবর্তীতে তাঁর নিজ উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার চিহ্নিত করে পাকাকরণ করেন। এর পরবর্তীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ১৫ আগস্ট ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে মেজবানের আয়োজন করেন। যা ১৯৮০ সাল থেকে তাঁর মৃত্যুঅব্দি পর্যন্ত এই মেজবানের আয়োজন করেছেন। এটি তাঁর মৃত্যুর পরও চলমান রয়েছে। যা বাংলাদেশ আওয়ামী পরিবারের মাঝে এক ঐতিহাসিক কর্মকান্ড হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। চট্টলবীর আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ও সাহসী সিপাহশালার। চট্টলবীর আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ- ২০২০ সালে মরনোত্তর স্বাধীনতা পদক প্রদান এখন সময়ের দাবী।
এসময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স.ম.জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুরেশ দাশ, সদস্য বায়েজিদ ফরায়েজী, হানিফ চৌধুরী ও বীরমুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট নজরুল ইসলাম চৌধুরী।