আজ : সোমবার ║ ৩রা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : সোমবার ║ ৩রা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║১৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ১২ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

‘নোট অব ডিসেন্ট’ বলছে বিএনপির ভেতরে ফ্যাসিস্ট হওয়ার খায়েশ আছে: সৈয়দ তাহের

দেশচিন্তা ডেস্ক: ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বলছে বিএনপির ভেতরে ফ্যাসিস্ট হওয়ার খায়েশ আছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

তিনি বলেন, সবাই যেখানে ঐক্যবদ্ধ, বিএনপি সেখানে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে। সেগুলো কী? প্রধানমন্ত্রী এবং দলের প্রধান একজন হতে পারবেন না, কোনো ব্যক্তি একাধারে ১০ বছরের বেশি থাকতে পারবেন না। ওনারা নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছেন। এগুলো যদি সংশোধন (অ্যামেন্ডমেন্ট) হয়, তাহলে স্বৈরাচারী হওয়ার সুযোগ থাকে না। এগুলোর বিরোধিতা করার মানেটা কী? মানে হচ্ছে ওনাদের আবার স্বৈরাচার হওয়ার চিন্তাভাবনা মাথায় আছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের মাল্টিপারপাস হলে ‘২৮ অক্টোবর থেকে ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের কালো থাবা ও আগামীর বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জামায়াতের নায়েবে আমির।

ডা. তাহের বলেন, আমরা ফ্যাসিবাদকে কখনো ভয় পাইনি, আমরা সংগ্রাম করেছি, বিজয়ী হয়েছি। কিন্তু আজ যারা ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে আমাদের ওপরে দায় চাপানোর রাজনীতি করতে চায়, তাদেরকে বলছি, পুরোনো ফ্যাসিবাদ যদি আবারও ফিরতে চায়, তাহলে আমরা লড়াই করব, সংগ্রাম করব, পরাজিত করব ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, আমরা ভয় পাচ্ছি না। আবার নতুন করে ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার যারা চেষ্টা করছেন, তাদের পরিণতি খুব ভালো হওয়ার কোনো কারণ নেই।

বিএনপি আজ কী নিয়ে লড়াই করছে– প্রশ্ন তুলে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, তারা মাসের পর মাস আমাদের সাথে, ৩১ দল মিলে আমরা সংস্কারের একটি জায়গায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, বিএনপিও সেখানে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তারা সনদে স্বাক্ষর করেছে। আমি আর বিএনপির সালাহউদ্দিন সাহেব একই সোফায় ছিলাম। আপনারা দেখেছেন, দুজনই একসাথেই তো ছিলাম, ঐকমত্যও হয়েছি। আবার স্বাক্ষরের দিন ফখরুল সাহেবের সাথেই তো ছিলাম। সম্ভবত ওনাদের পোশাক আমার চেয়েও বেশি পরিপাটি ছিল। হাসি-খুশি ঈদের মতো, নতুন পোশাক পরে উনারা স্বাক্ষর করেছেন। এখন উনাদের নাকি ধরে বেঁধে এনেছে, জোর করে, চেহারা তাদের এখন এমন মলিন। স্বাক্ষর করার সময় কলপ করছে কি না, সেটা দেখি নাই।

তাহের বলেন, স্বতঃস্ফূর্তভাবে বুঝে-শুনে দীর্ঘদিন একমত হয়ে আলোচনা করে ওনারা (বিএনপি) স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা শেষে স্বাক্ষর করেছেন। কিন্তু হঠাৎ কোনো একরাতে তারা কী উল্টাপাল্টা স্বপ্ন দেখেছেন জানি না, সকাল থেকে তারা সবাই উল্টাপাল্টা বলা শুরু করে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, যেগুলো বলছি, সেগুলো কী? সেখানে ছিল প্রধানমন্ত্রী এবং দলের প্রধান একজন হতে পারবেন না, কোনো ব্যক্তি একাধারে ১০ বছরের বেশি থাকতে পারবেন না। ওনারা নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছেন। এগুলো যদি সংশোধন (অ্যামেন্ডমেন্ট) হয়, তাহলে স্বৈরাচারী হবার সুযোগ থাকে না। এগুলোর বিরোধিতা করার মানেটা কী? মানে হচ্ছে ওনাদের আবার স্বৈরাচার হওয়ার চিন্তাভাবনা মাথায় আছে।

জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ এ নেতা বলেন, ফ্যাসিবাদ তো আসমান থেকে পড়ে না। ফ্যাসিবাদ তো নিজ ভূমি থেকেই, শাসন থেকেই তো গড়ে ওঠে। একজনের হাতে যখন অসীম ক্ষমতা থাকে তখন। আমরা তো সেটাই পরিবর্তন চাইছি। আর বিএনপির ভেতরে ভেতরে ফ্যাসিস্ট হওয়ার একটা খায়েশ আছে মনে হচ্ছে। যে কারণে সংস্কারে ফ্যাসিবাদের পথ তৈরির পথকে আমরা বন্ধ করতে চাইছি আর ওনারা তা বন্ধ করতে দিচ্ছেন না।

‘একজনের দলের প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী একসঙ্গে হওয়ার খায়েশ কেন? ১০ বছরের বেশি থাকতে হবে কেন? আমরা পরিষ্কার করে বলছি যে সংস্কার বাংলাদেশের মানুষের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, সুশাসনের জন্য, উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। এখানে আমরা কোনো আপস মানি না।’

তাহের বলেন, গতকাল ভিডিও বার্তার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে খোলা চিঠি দিয়েছি। সেখানে বলেছি, প্রধান উপদেষ্টা আপনি উল্লেখযোগ্য এমন কোনো কাজ করেননি যে কারণে মানুষ আপনাকে স্মরণ করবে। হাসিনা ১৪ বছর ছিল, বিএনপি বোধহয় ১৯ বছর ছিল। আপনি ১৩ মাস ছিলেন। এরকম একটা শাসন ক্ষমতায় আপনি আছেন। সংস্কারটা যদি আপনি ঠিকমতো করে দিতে পারেন, তাহলে নোবেল লরিয়েট হিসেবে একজন ব্যতিক্রমধর্মী শাসক হিসেবে বাংলাদেশের শাসনের ইতিহাসে আপনার নাম লেখা থাকবে।

সংস্কার করতে পারলে হিরো, না করতে পারলে জিরো– সতর্ক করে ড. ইউনূসকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, সংস্কার মাইনাস ড. ইউনূস জিরো। সংস্কার প্লাস ড. ইউনূস হিরো। আমরা আপনাকে হিরো হিসেবে দেখতে চাই। কারো চাপে আপনি মাথানত করবেন না। আপনি যদি চাপে হেলে পড়েন, তাহলে বিপদ। একদিক থেকে চাপ বেশি হলে এরকম এদিক-সেদিক করতে হবে। আমরা মনে করি আপনি কোনো চাপে নতিস্বীকার করেন না। ভারতের মতো রাষ্ট্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আপনি জানান দিয়েছেন।

জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, আপনি ক্ষমতায় আসার পর উদ্যোগ নিয়েছেন তিনটি– সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন। এক ও দুই শেষ করে তিন নম্বর আসে। আপনি সিরিয়ালি আসেন। আপনি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দেবেন, যেটা উৎসবমুখর পরিবেশে হবে। তার আগে এক ও দুই– সংস্কার ও বিচার শেষ করতে হবে।

তাহের বলেন, দুদিন ধরে শুনছি যে আপনারা বিএনপিকেও খুশি করতে চান। জামায়াতে ইসলামীকেও খুশি করতে চান। অন্য দলগুলোকেও খুশি করতে চান। কোনো রাজনৈতিক দলকে খুশি করার দায়িত্ব আপনাদের নয়। কোনো রাজনৈতিক দলকে খুশি করা আপনাদের কাজের ভেতরে পড়ে না। আপনাদের দায়িত্ব জাতিকে খুশি করার জন্য যা করা দরকার সেটা করা। সুতরাং আমি আশা করব যে, আপনি ও আপনার উপদেষ্টা পরিষদ যে দৃঢ় ভূমিকা পালন করে এই জাতির মুক্তি এবং কল্যাণে যে মহাযাত্রা আমরা শুরু করেছি, সেটি তার গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য দৃঢ় চিত্তে ভূমিকা পালন করবেন। আমরা আপনার সহযোগিতায় আছি। জাতি আছে, মানুষ আছে।

‘তবে কম্প্রোমাইজ করে যদি বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করেন, তাহলে পুরো বিষয়টি ঘোলাটে ও এক ধরনের অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে পড়ে যাবে।’

গণভোট কোনোভাবেই জাতীয় নির্বাচনের দিন সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাসিনা শহীদ-আহতদের জন্য ব্যথিত না হয়ে মেট্রোরেল ভাঙচুরের জন্য কান্নার নাটক করেছে। একইভাবে বিএনপির কাছে দুই হাজার শহীদ ও ৫০ হাজারের অধিক আহত-পঙ্গুত্ব বরণকারীদের রক্তের চেয়ে ৩ হাজার কোটি টাকা বেশি দামি। তারা দাবি করছে, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে হলে ৩ হাজার কোটি টাকা বাঁচবে। অথচ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ব্যতীত দেশ বারবার পথ হারাবে। শহীদদের রক্তের চেয়ে টাকার অঙ্ক কখনো দামি হতে পারে না।

জামায়াতের নায়েবে আমির বিএনপিকে শহীদের রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নভেম্বরের গণভোট আয়োজনে সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, গণভোটে জনগণ যেই রায় দেবে, জামায়াতে ইসলামী সেই রায় মেনে নেবে।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি (ঢাকা-৬ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী) ড. আব্দুল মান্নান।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দ বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরের প্রতিটি দিনই ছিল কালো অধ্যায়। সেই কালো অধ্যায়ের ধারাবাহিকতা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট।

তিনি বলেন, সমাজ পরিবর্তনের জন্য আদর্শিক পরিবর্তনের প্রয়োজন। নেতার পরিবর্তন নয়, নীতিরও পরিবর্তন প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, চার দলীয় জোট সরকারের শাসনামলে জামায়াতে ইসলামীর দুজন নেতা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছে। হাসিনা তাদের বিরুদ্ধে নানা রকম মিথ্যা অভিযোগ এনে হত্যা করলেও দুর্নীতির অভিযোগ আনতে পারেনি। অথচ ওই সময়ে বিএনপি দলীয় মন্ত্রীরা দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কারণ তাদের নীতি ভালো ছিল না। এজন্যই নেতার সাথে সাথে নীতিরও পরিবর্তন প্রয়োজন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ২৮ অক্টোবর বাতিলের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে শহীদ হওয়ার একটি স্মরণীয় দিন। জামায়াতে ইসলামী তখন চার দলীয় জোটের শরিক একটি বৃহৎ দল। কিন্তু সেদিন বিএনপি জামায়াতের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। জামায়াত-শিবিরকে নিঃশেষ করতে তারা আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনকে সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু জামায়াত-শিবিরকে নিঃশেষ করতে গিয়ে তারা নিজেরাও নিঃশেষ হয়েছে, জাতিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কারণ সেই সুযোগে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান বলেন, শুধু ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪-এর নির্বাচনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আসলে তা নয়, বরং ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের যাত্রা শুরু হয়েছে। ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে নয়, ২০০৬ সালের লগি-বৈঠার তাণ্ডবের মাধ্যমে বাংলাদেশে আধিপত্যবাদের দোসর ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের উত্থান শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জাতির প্রত্যাশা ছিল সরকার লগি-বৈঠা হত্যাকাণ্ড, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড, আল্লামা সাঈদীসহ বিচারিক হত্যার শিকার প্রত্যেক জাতীয় নেতা হত্যার বিচার করবে। কিন্তু সরকার সেটি না করে কেবল জুলাই গণহত্যার বিচারের কার্যক্রম শুরু করেছে। পরবর্তী নির্বাচিত সরকারকে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিটি খুন-গুমের বিচার করতে হবে।

গণভোট প্রসঙ্গে রাশেদ প্রধান বলেন, জাতীয় নির্বাচনের দিনে নয়, নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট সম্পন্ন করতে হবে। তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেন, আওয়ামী লীগের মতো একাত্তরের চেতনা বিক্রি না করে ১৯৯১ সালের জামায়াতকে দেখুন, ২০০১ সালের জামায়াতকে দেখুন, যেই জামায়াতের সহায়তায় ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় বসেছেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় বসেছেন। মজলুম সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর অবদান বিএনপিকে অস্বীকার না করতে তিনি আহ্বান জানান।

কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন মেজর (অব.) রেজাউল হান্নান শাহিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মুফতি মাওলানা ড. খলিলুর রহমান মাদানী, সাবেক সচিব মাহবুবুর রহমান, কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান, কর্নেল (অব.) জাকারিয়া, দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক সালাউদ্দিন বাবর, বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অধ্যাপক নূর নবী মানিক, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি (ফেনী-১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী) অ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (চট্টগ্রাম-১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী) অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান প্রমুখ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ