
দেশচিন্তা ডেস্ক: সিরিজ বাঁচাতে হলে জয়ের বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের। এমন সমীকরণে বোলারদের দারুণ কামব্যাকে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সহজ লক্ষ্যই পেলেন লিটন দাস-তানজিদ হোসেন তামিমরা। কেননা আধুনিক ক্রিকেটে ১২০ বলে ১৫০ রান তেমন কিছু না।
তবে অন্যদের কাছে তেমন কিছু না হলেও বাংলাদেশের জন্য যেন এই রান পাহাড়সম।
তা না হলে শেষ ১২ বলে ২৬ রানের সমীকরণে পড়তে হতো না বাংলাদেশকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডাররা একের পর এক ক্যাচ ছাড়ার পরেও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি স্বাগতিকেরা।
জেসন হোল্ডার প্রথম বলেই শামীম হোসেন পাটোয়ারিকে ইয়র্কারে বোল্ড করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দিকে জয়ের পাল্লা আরো ভারী করলেন। বাঁহাতি ব্যাটারকে আউট করে সেই ওভারে দিলেন মাত্র ৫ রান।
শেষ ৬ বলে তাই সমীকরণ দাঁড়ায় ২১ রানের। আকিল হোসেন বোলিংয়ে এসে প্রথম দুই বৈধ বলে দিলেন ৪ রান। ফিরতি বলে রিশাদ হোসেনকে আউট করে জয়ের কাজটা সহজ করে নেন তিনি। শেষ তিন বলে পরে ২ রান দিয়ে আরো একটি উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার।
এতে ১৪ রানের জয়ে সিরিজও নিজেদের করে নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের চোখ এখন শেষ ম্যাচে ধবলধোলাই এড়ানো।
অথচ, ব্যাটিং ইনিংসের শুরু থেকেই প্রথম চার ব্যাটারকে কমপক্ষে একটা করে জীবন দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডাররা। তানজিদ হাসান তামিম বাদে কেউই সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি। বাঁহাতি ওপেনার ৬১ রানের ইনিংস খেললেও বাংলাদেশকে জয় এনে দিতে পারেননি।
৪৮ বল খেলা ব্যাটার শেষ সময় উল্টো বাংলাদেশকে বিপদে রেখে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। আরেকটি ব্যাটিং ধসের সাক্ষী হয়ে সবমিলিয়ে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৩৫ রানে থামেন লিটন-জাকের আলি অনিকরা।
এর আগে চট্টগ্রামে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন অ্যালিক আথানাজে-শাই হোপ। দুজনে মিলে শতরানের জুটি গড়ার পথে ১১ ওভার শেষে দলকে ১ উইকেটে ১০৫ রান এনে দিয়েছিলেন। তবে শেষটায় দারুণভাবে কামব্যাক করেছে বাংলাদেশের বোলাররা। ওভারে জোড়ায় জোড়ায় উইকেটে নিয়ে প্রতিপক্ষকে ১৪৯ রানে থামান মুস্তাফিজুর রহমান-নাসুম আহমেদ-রিশাদ হোসেনরা।
আথানাজের ৩৩ বলে ৫২ রানের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেছেন হোপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক বল খেলেছেন ৩৬টি। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজ।


















