
দেশচিন্তা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে একে একে যোগ দিয়েছেন লুইস সুয়ারেজ, জর্দি আলবা ও সার্জিও বুসকেটস। এর নেপথ্যে মূল প্রভাবক হিসেবে কে ছিলেন তা বলাই বাহুল্য। সেই আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসিকে রেখেই এখন বিদায়ের পথে বুসকেটস-আলবা। সুয়ারেজের ভবিষ্যৎ–ও অনিশ্চিত। ফলে মেসি মায়ামিতে কতদিন থাকবেন সেই শঙ্কা ছিল, সেটি ছাপিয়ে তিনি আরও ৩ বছরের জন্য চুক্তি সেরেছেন।
ইন্টার মায়ামিতে ২০২৮ সাল পর্যন্ত থাকবেন বার্সেলোনা ও পিএসজির সাবেক এই তারকা ফরোয়ার্ড। এমএলএসের ২০২৫ মৌসুম শেষেই তার সঙ্গে ফ্লোরিডার ক্লাবটির চুক্তির মেয়াদ ফুরোনোর কথা ছিল। তাই মায়ামি বেশ আগে থেকেই মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য তোড়জোড় শুরু করে। অবশেষে গতকাল মেসি মায়ামির নির্মাণাধীন স্টেডিয়াম ফ্রিডম পার্কে বসে স্বাক্ষর করলেন নতুন চুক্তিপত্রে। এরপরই একটি ভিডিও সংযুক্ত করে মায়ামির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এলো– ‘হি ইজ হোম’।
আগামী বছর নতুন ও বৃহৎ এই স্টেডিয়ামের সঙ্গে যাত্রা শুরু করবে ইন্টার মায়ামি। যার সংস্কার কাজ এখনও চলমান, মেসির চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য সেই জায়গাকেই বেছে নিলো ডেভিড বেকহ্যামের ক্লাবটি। আরও তিন বছরের জন্য চুক্তি সেরে মেসি জানিয়েছেন, ‘এখানে থাকতে পেরে আমি সত্যিই অনেক খুশি, এই প্রজেক্ট চালিয়ে নিতে পেরে, স্বপ্নের পাশে থেকে। এটি চমৎকার এক বাস্তবতায় রূপ নিয়েছে– মায়ামি ফ্রিডম পার্কে খেলতে পারব। মায়ামিতে আসার পর থেকে আমি খুব খুশি, তাই এখানে চালিয়ে যেতে পেরে সত্যিই আনন্দিত।’
২০২৩ সালে মায়ামিতে মেসির আগমনের পর থেকেই প্রতিটি ক্ষেত্রে নতুন জোয়ার শুরু হয়। দর্শক উন্মাদনায় ভেসে ক্লাবের আর্থিক খাত যেমন বেড়েছে, তেমনি জনপ্রিয় হয়েছে ফ্লোরিডার এই ঠিকানা। মেসি থাকা মানেই আরও ২-৩ বছর টিকিট বিক্রি বেড়ে যাওয়া, নতুন স্টেডিয়ামও নির্মিত হচ্ছে মায়ামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে। মেসির নতুন এই চুক্তি মায়ামি এবং এমএলএস উভয়ের জন্যই লাভজনক। গত বছর এই আলবিসেলেস্তে মহাতারকা মৌসুমের ‘সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড় (এমভিপি)’-এর পুরস্কার জেতেন। এবারও দ্বিতীয়বার সেই মর্যাদালাভের দ্বারপ্রান্তে মেসি। এর আগে এমএলএসের ইতিহাসে কেবল একবার দুই মৌসুমে ‘এমভিপি’ পুরস্কার জেতার নজির আছে।
এমএলএসের নিয়মিত মৌসুমের খেলা শেষ, আগামীকাল (শনিবার) প্লে-অফের প্রথম ম্যাচে মায়ামির প্রতিপক্ষ ন্যাশভিলে। মেসির দলটি এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সে তিন নম্বরে থেকে প্লে-অফে ওঠে। চলতি মৌসুমে এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা ইতোমধ্যেই গোল্ডেন বুট জিতেছেন সর্বোচ্চ ২৯ গোল করে। তার পেছনে থাকা ডেনিস বুয়াঙ্গা ও স্যাম সারিজ ৫ গোলে পিছিয়ে। পাশাপাশি ১৯ অ্যাসিস্ট করে মোট ৪৮ গোলে অবদান রেখেছেন মেসি। এমএলএসের সর্বোচ্চ ৪৯ গোল+অ্যাসিস্টের রেকর্ড অল্পের জন্য হাতছাড়া হলো।

















