
দেশচিন্তা ডেস্ক: প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের উদ্যোগে এলএলবি (অনার্স) ৫৫, ৫৬ ও ৫৭তম ব্যাচের নবাগত শিক্ষার্থীদের বরণ এবং ৪৫ ও ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে ১৬ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দামপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির। বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব অনুপ কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন অনুষদের অ্যাডজাঙ্কট ডিন প্রফেসর মো. মোরশেদ মাহমুদ খান, সহকারী ডিন জনাব তানজিনা আলম চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জনাব মোহাম্মদ সোলাইমান চৌধুরী ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জনাব সোয়েব উদ্দিন খান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশন চট্টগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জনাব রেজাউল করিম রণি ও জনাব মোকাররম হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির নবীন শিক্ষার্থীদের গভীর আবেগ ও বিদায়ী শিক্ষার্থীদের গভীর অনুভূতি নিয়ে কথা বলেন। তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার ও মানবিক মানুষে পরিণত হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, এজন্য তোমাদের ভালোভাবে অধ্যয়ন করতে হবে ও মানবিকতার চর্চা করতে হবে। তিনি বলেন, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগ পুরো বাংলাদেশে প্রসিদ্ধি অর্জন করেছে। এটা এই বিভাগের শিক্ষকদের অবদান। তিনি আরও বলেন, শিক্ষা কেবল পেশা নয়, এটি একটি জীবনদর্শন। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি জ্ঞান ও নৈতিকতার সমন্বয়ে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আইন বিভাগ এই প্রয়াসের অন্যতম অগ্রগামী বিভাগ। আজকের এই বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান প্রমাণ করে যে, আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু বইমুখী নয়—তারা সংস্কৃতি, মানবিকতা ও সমাজবোধে সমৃদ্ধ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর মো. মোরশেদ মাহমুদ খান বলেন, মানুষকে মানুষ হিসেবে রূপান্তর করার জন্য যা যা দরকার, সবই প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে, আছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে। আমি চাই, তোমরা এই বিভাগে লেখাপড়া করে নিজেদের শুধু আইনের ছাত্র না-ভেবে সুনাগরিক ভাববে এবং দেশ ও সমাজের কল্যাণে নিয়োজিত হবে।
জনাব তানজিনা আলম চৌধুরী নবীন ও বিদায়ী শিক্ষার্থীদের শুদ্ধ মানুষ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের বলেন, তোমাদের যাত্রা আজ শুরু হলো। এই যাত্রায় অধ্যবসায়, সততা ও মানবতার বোধকে সঙ্গী করো। বিশ্ববিদ্যালয় শুধু ডিগ্রি নয়, দেশ ও সমাজকে এগিয়ে নেওয়ারও দায়িত্ব দেয়—তোমাদের প্রজন্মই এই দায়িত্ব বহন করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জনাব মোহাম্মদ সোলাইমান চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে কোড অব কন্ডাক্ট নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, তোমরা অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষায় এই কোড অব কন্ডাক্ট মেনে চলবে।
সভাপতির বক্তব্যে আইন বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব অনুপ কুমার বিশ্বাস বলেন, আইন শিক্ষা এমন এক ক্ষেত্র, যেখানে জ্ঞানের সঙ্গে নৈতিক চর্চা অপরিহার্য। আমাদের বিভাগ বরাবরই চেষ্টা করছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণার মনোভাব, যুক্তিবোধ এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা জাগিয়ে তুলতে। আজ যারা বিদায় নিচ্ছে, তারা যেন সমাজে ন্যায় ও সততার প্রতীক হয়ে ওঠে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
ইভটিজিং প্রিভেনশন কমিটির কনভেনর ড. মেহের নিগার যৌন হয়রানী প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন। বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আসিফ উদ্দিন ও আদিবা তাবাসসুম জয়িতার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নবাগত শিক্ষার্থীদের পক্ষে ভূমিকা মহাজন, মাইশা হাসনাত ও রেহুমা কামাল এবং বিদায়ী শিক্ষার্থীদের পক্ষে নাসিমা আকতার এষা ও সুপংকর বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে আইন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।