
দেশচিন্তা ডেস্ক: আবারও প্রমাণ করলেন, মঞ্চ যত বড়ই হোক, আলো ঠিকই ঘুরে বেড়ায় লিওনেল মেসির চারপাশে। বাংলাদেশের সময় রোববার সকালে মেসির জোড়া গোল ও এক অ্যাসিস্টে ইন্টার মিয়ামি ৩-২ গোলে হারিয়েছে ডি.সি. ইউনাইটেডকে। এই জয় মিয়ামিকে আরও শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছে এমএলএসের (মেজর লিগ সকার) শিরোপা দৌড়ে।
চেজ স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে ইন্টার মিয়ামিকে এগিয়ে দেন তাদেও অ্যালেন্দে। মেসির নিখুঁত লফটেড পাস থেকে দুর্দান্ত ফিনিশ করেন এই মিডফিল্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ডি.সি. ইউনাইটেডকে সমতায় ফেরান বেলজিয়ান স্ট্রাইকার ক্রিশ্চিয়ান বেন্টেকে। তবে এরপর ম্যাচে আসে মেসির ম্যাজিক মুহূর্ত।
৬৬ মিনিটে জর্ডি আলবার পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে নিজের প্রথম গোল করেন মেসি। কিছু সময় পরেই বক্সের বাইরে থেকে চমৎকার বাঁ পায়ের শটে দ্বিতীয় গোলটি করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-১।
৭২ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল মিয়ামি। হ্যাটট্রিকের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও মেসি স্পট কিকে এগিয়ে দেন তরুণ সতীর্থ মাতেও সিলভেত্তিকে। তবে তার শট লাগে ক্রসবারে।
ইনজুরি টাইমে ডি.সি. ইউনাইটেডের জ্যাকব মুরেল একটি গোল করলেও ম্যাচের ফল তখন অনেকটাই নিশ্চিত।
এই জয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের প্লে-অফে আরও শক্ত জায়গা করে নিয়েছে মায়ামি। সাপোর্টার্স শিল্ডের দৌড়েও তারা এখন ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নের চেয়ে মাত্র ৮ পয়েন্ট পিছিয়ে, হাতে রয়েছে আরও তিনটি ম্যাচ।
মেসির মোট গোল এখন ২২টি, যা তাকে এমএলএসের চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতায় পরিণত করেছে। সেই সঙ্গে ১২টি অ্যাসিস্টও রয়েছে তার ঝুলিতে, সবমিলিয়ে ২২ ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স।
ম্যাচ শেষে ইন্টার মিয়ামি কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো বলেন, “লিওর জন্য এটা হয়তো একটা সাধারণ রাত। কিন্তু অন্য যেকোনো ফুটবলারের জন্য এটা ছিল হ্যাটট্রিকের মতো পারফরম্যান্স। সে যখন দরকার হয়, তখন পুরো দলকে কাঁধে তুলে নেয়। সেটাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”