ফারুকুর রহমান বিনজু, পটিয়া প্রতিনিধি :
আঞ্জুমান-এ আশেকানে গাউসুল আজম সুলতানপুরী চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলার ব্যবস্থাপনায় পটিয়ায় ঐতিহাসিক জশনে জুলুছ-এ ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) হাজারো আশেকানে সুলতানপুরী ভক্তদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৭ নভেম্বর শনিবার ৮ রবিউল আউয়াল সকাল ১০ টায় উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আলহাজ্ব মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মোহাম্মদ ফারুক আল কাদেরীর সঞ্চালনায় পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ময়দানে অনুষ্টিত মাহফিলে ছদারত ও আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন আওলাদে রাসূল (দ.) গাউছে দাওরান আলহাজ্ব শাহ্ সূফি মাওলানা শেখ সৈয়দ ফরমান উল্লাহ সুলতানপুরী (মা.জি.আ) সাজ্জাদানশীন সাতগাছিয়া দরবার শরীফ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে তশরীফ আনেন আঞ্জুমান-এ আশেকানে গাউসুল আজম সুলতানপুরীর কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান পীরজাদা আলহাজ্ব শাহ্ সূফি মুফতি শেখ সৈয়দ হুজ্জাতুল মুবাল্লীগ সুলতানপুরী (মা.জি.আ)।
আরো উপস্থিত ছিলেন পটিয়া আমির ভান্ডার দরবার শরীফ গাউছিয়া রহমান মঞ্জিল এর সাজ্জাদানশীন পীরে তরিকত শাহজাদা মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ শহিদ শাহ্ আমির ভান্ডারী (মজিআ)। প্রধান বক্তা ছিলেন শরিয়তপুর মাছুমিয়া দরবার শরীফ এর সাজ্জাদানশীন পীরে তরিকত হযরত আলহাজ্ব আল্লামা শাহ্ছুফি মুফতি সৈয়দ মোখতার রেজা মাছুমি সুলতানপুরী (মজিআ)।
আমন্ত্রিত ওলামায়ে কেরাম ও অতিথিবৃন্দ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব আল্লামা হাফেজ আহমদ আল-কাদেরী, আলহাজ্ব মুফতি এস. এম আলাউদ্দীন আশরাফি, আলহাজ্ব আল্লামা সৈয়দ হাচ্ছানুল হক্ব নঈমি ছাহেব, আল্লামা আবদুল আজিজ সাহেব।
সাজ্জাদানশীন আলহাজ্ব মাওলানা শামশুল আলম খায়েরী, উপাধ্যক্ষ আল্লামা সহিদুল হক হোসাইনি, প্রভাষক আল্লামা হমিদুল হক, প্রভাষক মৌলানা মোস্তফা কামাল, ছুফি ফজল আহমদ সওদাগর, আবদুল খালেক চেয়ারম্যান, মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, ডা. এম এ হোসেন, ইঞ্জি: জাকের, মাওলানা ইয়াছিন, আবুল হাশেম মতি মেম্বার, নাজিম উদ্দিন, ছদরুল্লাহ খান, ইসমাঈল ফকির, রফিক, মহিউদ্দিন, মীজান, সাকিব, রানা, শাকিল উদ্দিন, টুটুল, জসিম উদ্দিন, হারুনুর রশীদ, এরফান, জমীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মাহফিলে বক্তারা বলেন, রবিউল আউয়াল মাস আমাদের জন্য এক মহান বার্তা নিয়ে আসে। সে বার্তা সৃষ্টিকূলের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। এ মাসে বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী, সৃষ্টিজগতের রহমত নবী মুহাম্মদ (দ:) দুনিয়ায় আগমন করেছিলেন। তাঁর জন্ম ও পুরো জীবন স্বতন্ত্র বৈশিষ্টমন্ডিত। তিনি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শান্তি, স¤প্রীতি প্রতিষ্ঠা ও সকলের যথাযথ অধিকার নিশ্চিত করে গেছেন। ভ্রাতৃত্ব ও মানবতার মহান আদর্শে উজ্জীবিত করেছেন গোটা মানব সমাজকে। ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনা পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে তাঁর দিক-নির্দেশনা রয়েছে। সে নির্দেশনা আমাদের পরিপূর্ণরূপে গ্রহণ করতে হবে। তাঁর আদর্শের আলোকে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে। সমাজে অবহেলিত-নির্যাতিত, বঞ্চিত ও দুঃখী মানুষের সেবা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, পরমতসহিষ্ণুতা, দয়া ও ক্ষমাগুণ, শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (দ:)-এর আদর্শ অতুলনীয় এবং তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হিসেবে অভিষিক্ত।