দেশচিন্তা নিউজ ডেস্ক:
জনগনের জন্যই আমাদের সংবিধান আর আমরাও তাঁদের সেবার জন্যই এখানে এসেছি সুতরাং জনস্বার্থেই আমাদের কাজ করে যেতে হবে। সাধারণ জনগণ যাতে কোন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে মামলার তদন্ত চালিয়ে সঠিক ও নির্ভুল অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করার জন্য পুলিশকে তাগিদ দিয়েছেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার রুমী। ০১ ডিসেম্বর বিকেলে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর সম্মেলন কক্ষে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কর্তৃক আয়োজিত পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সে সভাপতির বক্তব্যে এই তাগিদ দেন। এডিশনাল চীফ
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট,পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা,সিনিয়র জেল সুপার,চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,জেনারেল হাসপাতাল,র্যাব-৭, পুলিশের গোয়েন্দা শাখা,সিআইডি,পাবলিক প্রসিকিউটর,বনবিভাগ,জেলা লিগ্যাল এইড,মানবাধিকার প্রতিনিধিসহ চট্টগ্রাম জেলা এলাকার সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তরাও এসময় উপস্থিত ছিলেন। এসময় বক্তারা বলেন কিছু ভুয়া ওয়ারেন্ট পাওয়া যায় এর ফলে নিরিহ লোক হয়রানির সম্ভাবনা থাকে এই ক্ষেত্রে ওসি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সতর্কতার সহিত দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেন।থানায় দাখিলকৃত অভিযোগ নিয়ে যাতে কেউ হয়রানি না হয় সেজন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানান দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের। মাদকের মামলা বিষয়ে বলেন যেহেতু মাদকদ্রব্য অবৈধ তাই এর কোন মুল্যও নাই সেক্ষেত্রে জব্দকৃত মাদকের মুল্য না লেখার পাশাপাশি আনুমানিক পরিমান না লেখার পরামর্শ দেন। উদ্ধারকৃত মাদক ওজন করে পরিমান নির্ধারণ পুর্বক লেখার জন্যও বলা হয়েছে। মাদকের মামলায় আটককৃত গাড়ী সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে সিজেএম বলেন সঠিক মালিক পাওয়া গেলে জিম্মায় জামিন দেওয়া যেতে পারে কিন্তু মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোন সরকারী বা নিজস্ব কাজে কোন কর্মকর্তা এই গাড়ী ব্যবহার করতে পারবেননা। সাক্ষী জটিলতার ফলে মামলা নিষ্পত্তি হতে অনেক সময় লাগে উল্লেখ করে পাবলিক সাক্ষী যথা সম্ভব কম রাখার পরামর্শ দেন প্রয়োজনে পাবলিক স্বাক্ষী না থাকলেও কোন সমস্যা নেই বলেও উল্লেখ করেন অরিক্তি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।