
দেশচিন্তা ডেস্ক: রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে কক্সবাজারে শুরু হচ্ছে তিনদিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন।
রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেল থেকে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানীতে হোটেল বেওয়াচে শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন।
শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, প্রথমদিন বিকেলে বিদেশি অতিথি এবং বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টারা থাকবেন। এসময় ক্যাম্প থেকে একশো রিপ্রেজেনটেটিভ নারী-পুরুষ এবং তরুণ নেতৃত্বের মুখ থেকে শুনা হবে আসলে তারা কি চায়। তাদের দেশে তারা কিভাবে ফেরত যাবে। এ আলোচনা সভার শিরোনাম হচ্ছে কনফিডেন্স বিল্ডিং। এটার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মনোবল বৃদ্ধি করা। প্রত্যাবাসন কিভাবে হবে এবং সেখানে স্টেকহোল্ডাররা কিভাবে সহযোগিতা করবে। সন্ধ্যায় বিদেশি অতিথিদের জন্য পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সৌজন্যে ডিনারের আয়োজন থাকবে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের কালচার এবং হেরিটেজের একটা এক্সিবিশন থাকবে। যেখানে রোহিঙ্গাদের গর্বিত উত্তরাধিকার, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিদেশিদের সামনে তুলে ধরবেন এবং সেখানে রোহিঙ্গাদের শিল্পীগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবেন।
শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আরও জানান, পরদিন প্রধান উপদেষ্টা তিনদিনের সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। যেখানে দেশি-বিদেশি অতিথিরা থাকবেন। বিকেলে চারটি থিমেটিক সেশন থাকবে। চারটি থিমেটিল সেশনে সরকারের উপদেষ্টাগণ ও উর্ধতন কর্মকর্তাগণ, জাতিসংঘ, ঢাকাস্থ বিদেশি মিশনের প্রতিনিধি, বিদেশ থেকে আগত প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন। এ সেশনগুলোতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, মানবিক সহায়তা সহ ক্যাম্প ম্যানেজম্যান্ট নিয়ে আলোচনা হবে।
“সমাপনী দিনে যেসকল বিদেশি অতিথি আসবেন তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যাব। তারা যেখানে যেখানে যেতে চান সেখানে নিয়ে যাব। আমরা রোহিঙ্গাদের কিভাবে রেখেছি সেটি স্বচক্ষে দেখবেন এবং ইউএন যে সেবাগুলো দিয়ে থাকে সেগুলো উনার পর্যবেক্ষণ করবেন। যেখানে রোহিঙ্গাদের সাথে হয়তো আরো গভীর ইন্টারেকশনের সুযোগ থাকবে। আমাদের এবং রোহিঙ্গাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি- তাদের দেশে ফেরত যাওয়া। সেক্ষেত্রে যেন কোন হানাহানি ও বিপত্তির কারণ না হয় সেটি তারাও বুঝার চেষ্টা করছেন”- জানান শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।
জানা গেছে, ৩০ সেপ্টেম্বর সবচেয়ে বড় সম্মেলনটি হবে জাতিসংঘে। সেখানে ১৭০টি দেশ অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। তারপর কাতারের দোহাতে আরেকটা বড় সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে সরকার।