
চন্দনাইশ সংবাদদাতা : চন্দনাইশ বরুমতি খালের পাড়ে প্রেসিডেন্ট জিয়ার স্মৃতি চিহ্ন রক্ষার্থে চন্দনাইশ বিএনপি উদ্যোগ নিয়ে বৈঠকখানার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে নির্মাণ কাজ শুরু করে। গত ১৫ আগস্ট বিকালে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ড. শাহাদাত হোসেনের সার্বিক সহযোগিতায় চন্দনাইশ বিএনপি এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
জানা যায়, চন্দনাইশ পৌরসভার মধ্যবর্তী বরুমতি খালটি ১৯৮০ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন করেছিলেন। সে সময খাল খনন কাজের উদ্বোধনের পর প্রেসিডেন্ট জিয়ার বসার জন্য বরুমতি খালের পাড়ে একটি বৈঠকখানা স্থাপন করা হয়েছিল, সেটি দীর্ঘ ৪৫ বছরে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায়। প্রেসিডেন্ট জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত সেই বৈঠক খানাটি পূর্ণ নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ড. শাহাদাত হোসেন। অবশেষে গতকাল শুক্রবার বিকালে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠক খানাটি পূর্ণ নির্মাণের জন্য কার্যক্রম শুরু করা হয়। ৫ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে এই বৈঠক খানাটি নির্মাণের পাশাপাশি সেখানে একটি টিউবল বসানো সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, চন্দনাইশে বরুমতি খাল খনন কাজের উদ্বোধন করার জন্য হেলিকপ্টারযোগে আড়ালিয়া বিলে নেমেছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়া। তার আগমন বার্তায় চন্দনাইশের শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে আবাল, বৃদ্ধ-বণিতার মধ্যে উচ্ছাস ছিল চোখে পড়ার মতো। ১৯৭৮ সালে পটিয়া থেকে চন্দনাইশ আলাদা হয়ে প্রথমবারের মত চন্দনাইশে একজন প্রেসিডেন্টের আগমন মানুষের মাঝে আনন্দের বন্যা এনে দিয়েছিল। তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে বরুমতি খালের পূর্ব পাড়ে তার নামে একটি জিয়া সড়ক নামকরণ করা হয়। স্বেচ্ছাশ্রমে ১৯৮০-৮১ অর্থ বছরে বরুমতি খাল পুনঃখনন কাজের উদ্বোধনের পর খাল পাড়ে তিনি বসার জন্য একটি বৈঠকখানা তৈরি করা হয়েছিলো। কালো চশমা পড়া, সাদা গেঞ্জি গায়ে, মাথায় সাদা, ক্যাপ পড়ে পায়ের উপর পা তুলে এক দৃষ্টিনন্দন ভঙ্গিতে বসেছিলেন সে বৈঠকখানায়। সে ছবিটি ঐ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে উৎসাহমূলক প্রিয় হয়ে উঠেছিল। কে সেই ছবিটি তুলেছিলেন তা কেউ বলতে না পারলেও ছবিটি শোভা পেয়েছিল বাৎসরিক ক্যালেন্ডারে।
প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সে স্মৃতি বিজড়িত বরুমতি খালের বৈঠকখানাটি অবশেষে পূর্ণ নিমার্ণ হতে যাচ্ছে। দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য ইখতিয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন- দক্ষিণ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহŸায়ক মনজুর আলম তালুকদার, শহিদুর রহমান খাঁন, অলি হোসেন মুন্সী, জহিরুল ইসলাম শহীদ, প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম আবু সালেক, নাজিম উদ্দিন, হাবিবুর রহমান, আজম খান, মীর মহিউদ্দিন, মোনায়েম খাঁন, জাহাঙ্গীর আলম, হাজী আবু সিদ্দিক, আব্দুস সাত্তার সানি, আব্দুল মান্নান, সেলিম আলদিন, আকবর হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মো. সারোয়ার, সেলিম উদ্দিন, আব্দুল মান্নান, রহিম উদ্দিন, ফোরকার উদ্দিন, বেলাল উদ্দিন, মো. জিয়া, মো. জোবায়ের, রাশেদুল করিম, জাবেদ চৌধুরী রহিম, মো. আশিক, মো. আরফান উদ্দিন, মো. হাসান, আব্দুল কাদের, সেলিম ফারাবি প্রমুখ। পরে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনা, দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন।