আজ : শনিবার ║ ১৬ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : শনিবার ║ ১৬ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║১লা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ২২শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

দেশে নতুন করে ফ্যাসিবাদ কায়েমের সুযোগ দেওয়া হবে না : শিবির সভাপতি

সাতকানিয়া প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতার মোহে দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। খুন, গুম, হত্যা ও আয়না ঘর তৈরি করে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের—বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের—উপর সারা দেশে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সেই ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। এখনই পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার উত্তম সময়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখন নতুন করে একটি গোষ্ঠী দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চাইছে। ইসলামী ছাত্রশিবির সেই ফ্যাসিবাদ কায়েমের সুযোগ দেবে না।
সোমবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় সাতকানিয়ায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম জেলা দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির আজ ছাত্রসমাজের প্রাণের সংগঠনে পরিণত হয়েছে। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা শিবিরের পতাকাতলে শামিল হচ্ছে। এই অগ্রযাত্রা রোধ করতে একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা তাদের সভা-সমাবেশে ১০ মিনিটের বক্তব্যের মধ্যে ৯ মিনিট ইসলামী ছাত্রশিবির নিয়ে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন। তাদের নিজেদের কোনো এজেন্ডা নেই; এসবের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশে আরেকটি ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চাইছে। এ ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজসহ দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
চট্টগ্রাম জেলা দক্ষিণ শাখার সভাপতি আসিফ উল্লাহ আরমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ডিএম আসহাব উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক প্যানেল স্পিকার আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী।
তিনি বলেন, ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠিত হয়। ছাত্রশিবির না হলে দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের নাম নেওয়া যেত না। ছাত্রশিবির কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়; দেশের ছাত্রসমাজের মাঝে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে এ সংগঠন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ কাজ করতে গিয়ে অনেক নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। শুধু সাতকানিয়া-লোহাগাড়াতেই ১৩ জন ভাই শহীদ হয়েছেন। এই সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে এবং একদিন বাংলার মাটিতে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে।
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ