আজ : শুক্রবার ║ ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আজ : শুক্রবার ║ ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ║২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ║ ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ইতিহাস ও সাহিত্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তারা বলেন- মাতৃভাষা বাংলার গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস অতি পবিত্র তা পৃথিবীবাসীর কাছে তুলে ধরুন

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের হোটেল সিলভার সাইন অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ইতিহাস মঞ্চ ও চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র (সিএইচআরসি) এর যৌথ উদ্যোগে ইতিহাস ও সাহিত্যবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন-১৮  অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল: “আক্রান্ত মাতৃভাষা : আসুন প্রতিরোধ করি : মাতৃভাষা মধুর হোক সর্ব আঙিনায়।” মাতৃভাষা বাংলার প্রতি মর্যাদা ও বর্তমান প্রজন্মের কাছে এই ভাষার দরদ ও মধুময় করে তুলে ধরার লক্ষ্যে এ সম্মেলনে ৮০ জন বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিক, ইতিহাসবিদ বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল থেকে যোগদান করেন।

সম্মেলনের শুরুতে কক্সবাজার নগরীর হলিডের মোড় থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন হয়। সম্মেলনে বিজ্ঞ আলোচকগন বলেছেন, বিশ্বায়নের প্রভাবে বাংলাভাষা চর্চার যেমন অবারিত সুযোগ তৈরি হয়েছে, তেমনি নানামুখী সংকটের মুখোমুখি হবার ঝুকিও বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে মানবিক মূল্যবোধ তৈরি ও ক্ষয়িষ্ণুতার ক্ষেত্রেও বিশ্বায়নের এই প্রভাব অত্যান্ত প্রবল। তাই সমাজ সচেতন নাগরিক হিসেবে বাংলা ভাষাভাষী প্রত্যেক কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও গবেষককে বাংলাভাষার মান রক্ষার দ্বায়বদ্ধতা কাঁধে নিয়ে নিষ্ঠার সাথে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চায় আত্মনিয়োজিত থাকতে হবে। মাতৃভাষা বাংলার জয় হয়েছে, হবেই। এই ভাষা নন্দিত, এই ভাষা অতি পবিত্র, মাতৃভাষা বাংলা পৃথিবীতে মধুর ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। অমর একুশে ফেব্র“য়ারি আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বদরবারে পালিত হয়। মাতৃভাষা বাংলার গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস পৃথিবীবাসীর কাছে আরো সমৃদ্ধভাবে তুলে ধরার আহবান জানানো হয় সম্মেলন থেকে। সভায় বক্তারা বলেছেন, মাতৃভাষা বাংলার যেন কোন অমর্যাদা না হয়, সেবিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

সম্মেলনে বক্তারা বর্তমান প্রজন্মের কাছে পবিত্র বাংলা ভাষা রক্ষা ও মর্যাদার সহিত চর্চার জন্য আহবান জানান।৪ নভেম্বর রবিবার দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত তিন পর্বের পৃথক পৃথক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি ড. এস এম মনিরুজ্জামান, সাবেক মৎসসচিব ও কৃষি প্রযুক্তিবিদ সাহিত্যিক সিরাজুল করিম। সম্মেলনে পৃথক পৃথক ভাবে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক ও বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ইতিহাস মঞ্চের সভাপতি ড. অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ইতিহাস মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ও সম্মেলন উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল মো. ফখরুদ-দীন ও বিশিষ্ট ব্যাংকার ও লেখক বাবু দুলাল কান্তি বড়–য়া। সম্মেলন উদযাপন পরিষদের কো-চেয়ারম্যান বিশিষ্ট লেখক এ.কে.এম আবু ইউসুফের সঞ্চালনায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, বাংলা টিভির পরিচালক বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ড. দিনাক সোহানী, ভারতের প্রখ্যাত লেখক ও কবি বরুণ চক্রবর্তী, ত্রিপুরার বিশিষ্ট লেখক ও ইতিহাসবিদ ড. দেবব্রত দেবরায়, অসমিয় কবি ও অনুবাদক সংগীতা বরুয়া বারই, পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট কথাশিল্পী তারকনাথ দত্ত, বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখক গবেষক মো. কামাল উদ্দিন, কক্সবাজার আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিলানেত্রী সানজিদা সরোয়ার কাবেরী, আন্তর্জাতিক বাংলাভাষাভাষী পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী, জাতীয় কবিতা মঞ্চের সভাপতি কবি মাহামুদুল হাসান নিজামী, আসামের বিশিষ্ট লেখক বিপুল কান্তি দত্ত, বিশিষ্ট কবি ও মুক্তিযোদ্ধা এম এ সাত্তার, অধ্যক্ষ ভদন্ত দীপানন্দ স্থবির, ড. আশিষ কুমার বৈদ্য, অধ্যাপক জীতেন্দ্র লাল বড়–য়া, কবি মাসুম আহমেদ রানা, ভাষা গবেষক ডাঃ এম.এ মোক্তদির, কক্সবাজার ইতিহাস চর্চা পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইউনুচ কুতুবী, প্রাবন্ধিক কাজী একরামুল হক সিকদার, কবি রাখাল মজুমদার, কবি সোমা মজুমদার, কবি রতন আচার্য, ইতিহাসবিদ ও সাংবাদিক জ্যোতির্ময় রায়, সাহিত্যিক অনিক প্রতিরায়, টিভি উপস্থাপক সুলেখা সরকার, কবি সঞ্চিতা পাল, কবি শংকর হালদার, সঙ্গীতজ্ঞ দীলিপ মুখোপাদ্যায়, কবি নন্দিতা ভট্টাচার্য, কবি মৌসুমী কর, নিভা চৌধুরী, কবি গনেষ সরকার, কবি উদয়ন বড়–য়া ঝুন্টু, প্রকৌশলী টিকে সিকদার, প্রিয়াঙ্কা বড়–য়া, কবি ও ছড়াকার সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল, অধ্যাপক রহিমা আকতার, বীমাবিদ লোকমান হাকিম, ইতিহাসবিদ তৌফিকুল ইসলাম চৌধুরী, প্রকৌশলী বদিউল আলম, কবি আবদুল হালিম, সাফাত বিন সানাউল্লাহ, দেবাশীষ বড়–য়া রাজু, কবি সোমা মজুমদার, হাফেজ সিদ্দিক, মহেশখালী কৃষি কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন, কবি ও ইতিহাসবিদ মন্টু দাশ প্রমুখ। সম্মেলনে আগত সকল দেশ বিদেশী সকল অতিথিদের বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ইতিহাস মঞ্চের উত্তরীয়, সম্মাননা সনদপত্র, ব্যাগ ও উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ