আজ : শনিবার ║ ১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : শনিবার ║ ১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

ধারাবাহিক হত্যা ও গণহত্যাই ছিল শেখ হাসিনার রাজনীতি –এস এম লুৎফর রহমান

দেশচিন্তা ডেস্ক : বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর হত্যা সারাদেশে হত্যাযজ্ঞ চালানোর মাধ্যমে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের যাত্রা শুরু হয়। ২০০৮ সালে মূলত আওয়ামীলীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি; বরং আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনা হয়। এরপর থেকে ধারাবাহিক হত্যা ও গণহত্যাই ছিল শেখ হাসিনার রাজনীতি। ২০০৬ সালের অক্টোবরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন গাজীপুর মহানগরীর শ্রমিকনেতা রুহুল আমীনকে লগিবৈঠা দিয়ে হামলা করার মাধ্যমে হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের হত্যাযজ্ঞের শুরু হয়। তারপর ২৮ অক্টোবর পল্টনে ১৫ জন তাজাপ্রাণ নিরাপরাধ মানুষকে তারা হত্যা করে। লাশের ওপর নৃত্য করে এই হায়েনারা।

 

তারপর ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের মাধ্যমে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের হত্যা করে আওয়ামী লীগ। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী তারা প্রায় দেড় শতাধিক প্রতিবাদী জনতাকে হত্যা করে। একই বছর ৫ই মে শাপলা চত্বরে হেফাজতের ওপর নির্বিচার গুলি চালিয়ে ধর্মপ্রাণ আলেম-উলামাদের হত্যা করে। গত জুলাই-আগস্টে দেড় হাজারের ওপরে মানুষ হত্যা করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার শেষ চেষ্টা চালায়। এভাবে হত্যা ও গণহত্যাই হচ্ছে আওয়ামীলীগ ও শেখ হাসিনার আমলনামা। এসকল হত্যা ও গণহত্যার বিচার অবশ্যই করতে হবে।

 

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত ২৮ অক্টোবর-২০০৬ লগি-বৈঠার হামলায় নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এস এম লুৎফর রহমান উপর্যুক্ত কথা বলেন। মহানগরীর আইন-আদালত সম্পাদ হামিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা পেশ করেন মহানগরীর সহ-সভাপতি আবু তালেব চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মকবুল আহমদ ভূঁইয়া, মুনিরুল আলম মজুমদার, ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম ও মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ছিল ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায়। আওয়ামী লীগ সেদিন অসংখ্য নিরাপরাধ মানুষ হত্যার মাধ্যমে তাদের কলঙ্কজনক ফ্যাসিবাদী যাত্রার সূচনা করে। সেদিন ছিল মূলত চারদলীয় জোট সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তরের দিন। পাঁচ বছরের সরকার পরিচালনার পর শান্তিপূর্ণভাবেই ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত নাম শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের লগিবৈঠা নিয়ে মানুষ হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল। তার নির্দেশে আওয়ালীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ ও মহিলালীগসহ তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা খুনের নেশায় রাজপথে নেমে আসে। পল্টনে জামায়াতের সমাবেশে হামলাসহ সারাদেশে নারকীয় তাণ্ডব ও হত্যাযজ্ঞ চালায় খুনী আওয়ামীলীগ।

 

অবিলম্বে খুনী আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের বিচারের মাধ্যমে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষদের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করুন। আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স.ম. শামীম, আকরাম হোসেন জিহাদ, হারুন হাওলাদার, শহিদুল হাসান প্রমুখ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ