
দেশচিন্তা ডেস্ক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে ঢাকার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন দলের নেতারা।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সূর্যাস্তের আগে তারেক রহমান না পৌঁছানোয় নেতারা বিকেল ৫টা ৬ মিনিটে শ্রদ্ধা জানান।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে অংশ নেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, নেতা ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, তমিজউদ্দীন, ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, আইয়ুব খান, মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর ও মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
এর আগে বিকেলে দীর্ঘ ১৯ বছর পর বাবা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে রওয়ানা হন তারেক রহমান।
এদিন তারেক রহমান জনভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দুপুরে গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসায়ই জোহরের নামাজ আদায় করেন। দুপুর ২টা ৫৪ মিনিটে বাসা থেকে জিয়া উদ্যানের উদ্দেশে রওনা হন। বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে সমাধিস্থলে প্রবেশ করেন। এসময় উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মীরা রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে তাকে অভিবাদন জানান এবং বিভিন্ন স্লোগান দেন। তখন নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, এপিবিএন ও বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। এরপর লাল-সবুজ রঙের বুলেট প্রুফ বাসে করে স্মৃতিসৌধের পথে রওয়ানা হন।
তারেক রহমানের নিরাপত্তার স্বার্থে জিয়া উদ্যান ও সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়। সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা স্মৃতিসৌধ এলাকা ঘিরে রাখেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর পর লন্ডন থেকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জুলাই ৩৬ একপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট) সংলগ্ন এলাকায় অগণিত মানুষের সমাগম ঘটে। ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন জনসমাগমে ঢাকা মহানগরী জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
পরে বিকেলে রাজধানীর ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ ফিট) আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনায় তিনি তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও দেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে আবেগঘন কণ্ঠে তিনি তুলে ধরেন এক নিরাপদ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশের চিত্র, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।










