
দেশচিন্তা ডেস্ক: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল-ইকোনমিক কাউন্সিলর এরিক গিলানের এক সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল স্পেশালিস্ট ফিরোজ আহমেদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও নগর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. একেএম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্যা ও নগর মহিলা জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হাসিনা ইয়াসমিন রিনা, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আয়েশা পারভিন, সাংগঠনিক সম্পাদিকা শিরিন জাহান।
41″ />
উভয়পক্ষ চট্টগ্রামসহ দেশের সামগ্রিক নাগরিক উন্নয়ন, ধর্মীয় সহাবস্থান, মানবাধিকার এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির বিভিন্ন দিক নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করেন।
বৈঠকে চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে সব ধর্ম, সম্প্রদায় ও নাগরিকের সমান মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা ইসলামের মৌলিক শিক্ষা। এসময় তিনি আমীরে জামায়াতের কথাটি পুনঃউল্লেখ করেন- “এই দেশে কোনো সংখ্যালঘু নেই; সকলেই সমান।”
এছাড়া নাগরিক অধিকার, ন্যায়বিচার (ইনসাফ), সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের বিষয়ে বিস্তারিত মতবিনিময় হয়। মহানগরী আমীর জানান, দুর্নীতি জাতির উন্নয়নে বড় বাধা, তাই সুশাসন, জবাবদিহিতা ও নৈতিকতার ভিত্তিতে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়তে জামায়াত অঙ্গীকারবদ্ধ।
চট্টগ্রামের দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা সমস্যা এবং নাগরিক দুর্ভোগ নিয়ে জামায়াতের উদ্যোগ, তৎপরতা ও সেবামূলক কার্যক্রম বৈঠকে তুলে ধরা হয়। একইসাথে চট্টগ্রাম বন্দর, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চট্টগ্রামের কৌশলগত গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা হয়। উভয়পক্ষ সহযোগিতা, স্বচ্ছতা ও টেকসই উন্নয়নের বিষয়ে ইতিবাচক মতামত বিনিময় করেন।
বৈঠকে আলোচনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ছিল নারীর শিক্ষা ও ক্ষমতায়ন। জামায়াতের নারী নেত্রীরা সরাসরি আলোচনায় অংশ নেন এবং নারী শিক্ষা, নিরাপত্তা ও নেতৃত্ব বিকাশ সম্পর্কিত মতামত তুলে ধরেন। মার্কিন কর্মকর্তা নারীদের অংশগ্রহণ এবং তাদের নেতৃত্বের সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে স্বাগত জানান।
আলোচনার শেষে উভয়পক্ষ মানবিক মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি, সামাজিক সহাবস্থান এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে ভবিষ্যতে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও গঠনমূলক সংলাপ বজায় রাখার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।










