আজ : বুধবার ║ ১২ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : বুধবার ║ ১২ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২৭শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজবহর মোতায়েন

দেশচিন্তা ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজ ‘ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ডকে’ কেন্দ্র করে গঠিত মার্কিন নৌবহর ক্যারিবীয় সাগরে পৌঁছেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী নিশ্চিত করেছে। মাদকবিরোধী অভিযানের আড়ালে এই বিশাল যুদ্ধজাহাজের বহর মোতায়েন করা হলেও, এটিকে কেন্দ্র করে ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা আরও বেড়েছে।

বুধবার (১২ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। গত মাসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই স্ট্রাইক গ্রুপ অঞ্চলটিতে পাঠানো হয় এবং এই সময়ে ক্যারিবীয় ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে কথিত মাদকবাহী নৌযানের ওপর অন্তত ১৯টি হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যাতে ৭৬ জন নিহত হয়েছেন।

এই হামলাগুলোর প্রেক্ষাপটে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সংকট তৈরি’ এবং তার বামপন্থি সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা করার অভিযোগ এনেছেন। এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রোর সরকারের সম্পর্কও ক্রমেই তিক্ত হচ্ছে।

ট্রাম্প পেত্রোকে ‘দুষ্কৃতকারী ও খারাপ লোক’ বলে উল্লেখ করায়, এর জবাবে মঙ্গলবার পেত্রো তার দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে তথ্য বিনিময় বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবশ্যই ক্যারিবীয় অঞ্চলের মানুষের মানবাধিকারকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’

মার্কিন নৌবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ১১ নভেম্বর স্ট্রাইক গ্রুপটি যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন কমান্ডের দায়িত্বাধীন এলাকায় প্রবেশ করেছে, যা লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা তদারকি করে। নৌবহরটিতে ৪ হাজারেরও বেশি নাবিক ও ডজনখানেক বিমানসহ ‘ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড’, বেশ কয়েকটি গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার এবং অন্যান্য সহায়ক জাহাজ রয়েছে।

পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল জানান, এই শক্তিবৃদ্ধির ফলে ‘অবৈধ কর্মকাণ্ড শনাক্ত, যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি ও প্রতিরোধের সক্ষমতা বাড়াবে’ এবং ‘মাদক পাচার ও আঞ্চলিক অপরাধী নেটওয়ার্ক’ দমন করবে। তবে এর আগে নভেম্বরের শুরুতে এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেন যে, তিনি ভেনেজুয়েলা সরকারকে উৎখাত বা যুদ্ধ শুরু করতে চান না, তবে তিনি ইঙ্গিত দেন, ধ্বংস করা প্রতিটি নৌযান ‘২৫ হাজার মানুষের মৃত্যু ঠেকায়।’

এছাড়া ভেনেজুয়েলায় স্থল হামলার পরিকল্পনা রয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে ট্রাম্প সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘আমি এখনই বলব না আমি কী করতে যাচ্ছি বা করতে যাচ্ছি না।’

সূত্র: বিবিসি

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ