আজ : রবিবার ║ ৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : রবিবার ║ ৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২৪শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সবুজে ঘেরা নান্দনিকতা ড্রিম স্কয়ার রিসোর্ট

দেশচিন্তা ডেস্ক: ঢাকার কোলাহল পেরোনোর পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনায় গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল এক সবুজস্বপ্ন: ‘ড্রিম স্কয়ার রিসোর্ট’। ৩০০ বিঘা জমিতে গড়ে তোলা রিসোর্টটিতে রয়েছে প্রাণপ্রকৃতির ছোঁয়া, নান্দনিকতার মিশেলে আধুনিকতার সমন্বয়ে দারুণ সব সুযোগ-সুবিধা। যা অতিথিকে দেয় ‘দ্বিতীয় বাড়ির’ অনুভূতি।

এখানে প্রবেশ করলেই পালটে যায় মেজাজ। রিসোর্টের প্রবেশদ্বার থেকেই মেলে সবুজের শীতলতা। শান্ত সবুজ মাঠ, ফুলের বাগান, লেক, গাছপালা আর দূর থেকেই শোনা যায় পানিপ্রবাহের সুর। সব মিলিয়ে আলাদা এক পরিবেশ, যা গ্রাহককে নিয়ে যায় স্বপ্নের ঠিকানায়। কোলাহলমুক্ত পরিবেশে প্রকৃতির সান্নিধ্যে এখানে ডুব দিতে পারেন যে কেউ। ট্র্যাফিক-শহরের ধুলামাখা ঘামঝরা দিনটিকে পেছনে রেখে এখানে খুব সহজেই মেলে স্থির-শীতল এক সময়ে।

রিসোর্টটিতে বিলাসবহুল কক্ষ ও আধুনিক সব সুবিধা রয়েছে। ১৩০টি কক্ষের রিসোর্টের প্রতিটি কক্ষেই এলইডি টিভি, হাই-স্পিড ব্রডব্যান্ড ওয়াই-ফাই, এসি ও গিজারসহ সুসজ্জিত বাথরুম রয়েছে। কক্ষের সাজসজ্জা সরল, তাজা ও উষ্ণ; শহুরে নকশা ও আরামের সুষম মিশেলে অতিথি যেন সানন্দে উপভোগ করতে পারেন তার সময় সেদিকে রাখা হয়েছে বিশেষ দৃষ্টি। আছে মাটির ঘর (থাকছে এসি ও সকল সুযোগ-সুবিধা) প্রেসিডেন্ট সুইট, অসংখ্য টাওয়ার বিল্ডিং, ভিলা, কটেজ ও সবচেয়ে আকর্ষণ ওয়াটার ভিলা। ডে-লং প্যাকেজ বা রাত কাটানোর সুবিধা—দুই-ই অনায়াসে মেটানো যায় এখানে।

ড্রিম স্কয়ারের অন্যতম বিশেষত্ব হলো প্রকৃতির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ অভিজ্ঞতা। রিসোর্টজুড়ে রয়েছে বহু লেক যেখানে নৌকা চালানো যায়, করা যায় ফিশিং। পুরো জায়গাটা দেখাশোনা করতে গেলে গড়িয়ে যাবে একদিন; অবশ্য এটা কোনো বড় সমস্যা নয়, রিসোর্টে আছে ছোট ইলেকট্রিক ভেহিকেল ও বাগী যা নিয়ে ঘুরে আসা যায় সহজে। চাইলে নিজেও চালাতে পারবেন।

দ্বিতীয় আশ্চর্য বিষয় হলো, এখানে আছে নিজস্ব খামার—গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগি, মাছ, সবজি এমনি কি ধানও মেলে!খামার থেকেই সংগৃহীত তাজা উপকরণ ব্যবহার করে অতিথিদের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন করা হয় এখানে।

মসজিদসহ, খেলাধুলা ও রিল্যাক্সেশনের সব ব্যবস্থা রয়েছে রিসোর্টে। সুবিশাল চমৎকার মসজিদ, ফুটবল মাঠ, ক্রিকেট মাঠ, টেনিস কোট, সুইমিংপুল, বিশাল ওয়াটার পার্ক, সুবিশাল জাকুজি, বাচ্চাদের জন্য আলাদা পুল, স্পা, স্বাস্থ্য ও ফিটনেস সেন্টারসহ আছে আরো অনেক কিছু। শিশুদের জন্য আলাদা খেলার জায়গা, ও নিরাপদ ব্যবস্থা থাকায় পরিবার নিয়ে ভ্রমণও হয় ঝামেলামুক্ত।

আয়োজনে অভিজাত ব্যাঙ্কোয়েট ও এমপি থিয়েটার। ব্যাঙ্কোয়েট হলের পাশেই কনফারেন্স—সেমিনার, সভা, কর্পোরেট ইভেন্ট, টিম বিল্ডিং, বিয়েসহ যে কোনো আয়োজনের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। আরো রয়েছে ৬-৭টি হল যেখানে ছোট থেকে বড় মিটিং—সব কিছুরই আয়োজন করা সম্ভব। এমপি থিয়েটার ওপেন একটি জায়গা যা অনেকটা রবীন্দ্র সরোবরের মত, এখানে নানা আয়োজন করা যায়। রিসোর্টের একাধিক ভিলা, টাওয়ার বিল্ডিং ও প্রেসিডেনশিয়াল সুইট বিভিন্ন আয়ের অতিথির চাহিদা মেটায়।

রিসোর্টটি ‘অল-ইনক্লুসিভ’ অভিজ্ঞতা দেয়—ওয়েলকাম ড্রিংকস, বুফে ব্রেকফাস্ট, বুফে লাঞ্চ, বুফে ডিনার, ইভিনিং স্যাক্স, ইন-রুম মিনারেল ওয়াটার, কফি–চা, আনলিমিটেড ওয়াই-ফাই এবং ২৪ ঘণ্টা রুম সার্ভিসসহ। পরিবার, বন্ধু কিংবা অফিসের আউটিং, কর্পোরেট অনুষ্ঠান, পারিবারিক অনুষ্ঠানসহ সব ধরনের অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত প্যাকেজ আছে। গ্রীষ্মকালীন বা বিশেষ ছুটির দিনে বুকিং-সংকট এড়াতে আগে থেকেই রিজার্ভেশন করা যাবে।

নিরাপত্তা, খাদ্যের মান এবং অতিথি সেবায় এখানে কোনো আপস করা হয় না। রিসোর্টের জেনারেল ম্যানেজার শামীম চৌধুরী বলেন, ‘ড্রিম স্কয়ার মানুষের মধ্যে আস্থা, বিশ্বাস ও ভরসা তৈরি করেছে। ঢাকার পাশে এলিট ও পর্স রিসোর্ট খুঁজলে ড্রিম স্কয়ারই মুখ্য পছন্দ। আমরা কখনো সেবা, খাদ্যমান এবং নিরাপত্তায় আপস করি না। আমরা গড়ে তুলেছি সবুজের রাজ্য, আমরা আমাদের ২৫০ জন স্টাফকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সবসময় সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে বদ্ধপরিকর।’

সহকারী ম্যানেজার (মার্কেটিং ও কমিউনিকেশন) মুজাহিদ বিল্লাহ যোগ করেন, ‘দীর্ঘ ছুটির দিনে যেখানে রুম পাওয়া যায় না, আবার অনেক রিসোর্টে থাকে নানা সমস্যা, সেখানে ড্রিম স্কয়ারে আমরা অতিথিদের পাঁচ তারকা মানের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করি। নিরাপত্তা, সেবা ও স্মার্ট ব্যবস্থায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সম্পূর্ণ পারিবারিক পরিবেশে বিনোদন নিশ্চিত করি। সম্পূর্ণ নিরাপদ নির্মল বিনোদন আমাদের লক্ষ্য।’

গাজীপুরে শত রিসোর্ট অথবা ঢাকার আশেপাশে অনেক রিসোর্টের ভিড়ে যদি কোনো একটিই সরাসরি ‘এলিট, নান্দনিক ও আধুনিক বিলাসবহুল’ অভিজ্ঞতা দিতে পারে সেটি ড্রিম স্কয়ার বলেন তিনি। সবুজ উপবনের কোলে, লেকের কূলে কিংবা ব্যক্তিগত ভিলার বা ওয়াটার ভিলার বারান্দায় বসে দিন কাটালে বুঝবেন এটি শুধুই অবকাশ নয়—এক ধরনের পুনরুজ্জীবন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ