
দেশচিন্তা ডেস্ক: রাঙ্গামাটিতে গত পাঁচ দিন ধরে নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। এতে চরম ভোগান্তিতে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা শহরের আসামবস্তি, রিজার্ভ বাজার, পুরান পাড়া ও রসুলপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এসব এলাকার ঘরবাড়ি ও সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।
একই চিত্র লংগদু, বাঘাইছড়ি, বরকল ও জুরাছড়ি উপজেলাতেও। পানিবন্দি মানুষের অভিযোগ, অনেক এলাকায় এখনও ত্রাণ পৌঁছায়নি। ঘরে পানি ঢুকে থাকায় রান্নাবান্নাতেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় শুক্রবার সকাল থেকে আড়াই ফুট করে খুলে দেয়া হয়েছে বাঁধের সবগুলো জলকপাট। বর্তমানে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৫০ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে ছাড়া হচ্ছে। হ্রদে বর্তমানে পানির উচ্চতা ১০৮.৮৩ এমএসএল।
আসামবস্তি এলাকার বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘ঘরে পানি ঢুকে গেছে। রান্না করার জায়গা নেই, ছোট বাচ্চাদের নিয়ে চরম কষ্টে আছি।’
রিজার্ভ বাজার এলাকার দোকানি জামাল হোসেন বলেন, ‘সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দোকান খোলা যাচ্ছে না। আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে।’
লংগদু উপজেলার কৃষক অমরজ্যোতি চাকমা বলেন, ‘ফসলি জমি ডুবে গেছে। সময়মতো পানি না নামলে বড় ক্ষতির মুখে পড়ব।’