
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক সংসদ সদস্য ও মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, “বিশ্বের ষাটটিরও বেশি দেশে প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়। এটি একটি আধুনিক, ন্যায্য এবং জনমতের প্রতিফলনকারী নির্বাচন ব্যবস্থা। বাংলাদেশেও এই পদ্ধতি চালু হলে নমিনেশন বাণিজ্যের অবসান হবে এবং কালো টাকার দৌরাত্ম কমে আসবে।”
তিনি আরও বলেন, “যারা পিআর পদ্ধতির বিরোধিতা করছে তারা প্রকৃতপক্ষে ফ্যাসিবাদী পন্থায় ক্ষমতা দখলে রাখতে চায়। গণতন্ত্রের সত্যিকারের চর্চা নিশ্চিত করতে হলে পিআর পদ্ধতি অপরিহার্য।”
তিনি এই মন্তব্য করেন সোমবার (৩০ জুন) চট্টগ্রামের দেওয়ানবাজারস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম অঞ্চল আয়োজিত দুইদিনব্যাপী লিডারশিপ ট্রেনিংয়ের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, এবং সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি ও চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের প্রার্থী অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন: অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর সাদেকমা, ওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যক্ষ মাওলানা আমিরুজ্জামান (চট্টগ্রাম-৭), সাবেক হুইপ ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৫), মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম (চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমির), আলাউদ্দিন সিকদার (চট্টগ্রাম-৩), অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন (খাগড়াছড়ি), অধ্যাপক মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী (কক্সবাজার-৪), মাওলানা আবদুস সালাম আজাদ (বান্দরবান), অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক (দক্ষিণ জেলা), অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী (চট্টগ্রাম-১০), ডা. আবু নাছের (চট্টগ্রাম-৮), অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম (চট্টগ্রাম-১৬), অধ্যাপক মাওলানা মাহমুদুল হাসান (চট্টগ্রাম-১৩), এডভোকেট সাইফুর রহমান (চট্টগ্রাম-১), আবদুল্লাহ ফারুক (কক্সবাজার-১), ইয়াকুব আলী চৌধুরী (খাগড়াছড়ি), অধ্যক্ষ নুরুন নবী (চট্টগ্রাম-১), আকতার আহমদ (কক্সবাজার-১), সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা শাহজাহান বলেন, “নির্বাচনে বিজয়ের জন্য এখন থেকেই প্রতিটি আসনকে লক্ষ্য করে কাজ করতে হবে। ময়দানের জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে হবে।”
আরও উপস্থিত ছিলেন: আনোয়ারুল আলম চৌধুরী (দক্ষিণ জেলা আমির), আব্দুল জব্বার (উত্তর জেলা সেক্রেটারি), জাহেদুল ইসলাম (কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারি), মোহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুছ (মহানগর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি), এস এম লুৎফর রহমান (শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি), ডা. ফরিদুল আলম (চট্টগ্রাম-১২), অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ (বান্দরবান), ডা. শাহাদৎ হোসাইন (চট্টগ্রাম-১৪), ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম (চট্টগ্রাম-৫), শাহজাহান মঞ্জু (চট্টগ্রাম-৬), শহীদুল আলম বাহাদুর (কক্সবাজার-৩), হামেদ হাসান ইলাহী, আমির হোসাইন, ফখরে জাহান সিরাজী সবুজ, ডা. ছিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।