সাতকানিয়ায় সংবাদদাতা : আল হেলাল আদর্শ ডিগ্রি কলেজের সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা, প্রথিতযশা সাংবাদিক ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মরহুম আলহাজ্ব হেলাল হুমায়ুন এর ৮ম ও কলেজের স্বপ্নদ্রষ্টা কবি-হাকিম-মাওলানা মরহুম ইসমাঈল হিলালীর ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অধ্যক্ষ মোহাং হারুনর রশিদ এর সভাপতিত্বে এবং বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মোঃ জামাল উদ্দিন হায়দার এর সঞ্চালনায় কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজ গভর্নিং বডির সম্মানিত সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক জনাব মোহাম্মদ ইসহাক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজ গভর্নিং বডির বিদ্যোৎসাহী সদস্য জনাব মোঃ আজিজুর রহমান।
মরহুমদ্বয়ের জীবনের বিভিন্ন দিকের ওপর আলোকপাত করে শিক্ষকবৃন্দের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন কলেজের উপাধ্যক্ষ জনাব মোহাম্মদ ইদ্রিস, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মোঃ আবদুল মজিদ পাটোয়ারী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মোঃ জসিম উদ্দিন, দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মোঃ আমির হোসাইন। ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মর্জিয়া বেগম (দ্বাদশ, মানবিক) ও সাজিদ আল মোহাইমিন (দ্বাদশ, মানবিক)।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন দ্বাদশ মানবিকের সাজিদ আল মোহাইমিন এবং হামদ/নাত রাসুল (সঃ)/ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন দ্বাদশ বিজ্ঞানের সাঈদ রাব্বি চৌধুরী, একাদশ মানবিকের শারকিয়াতুল জান্নাত ও শরীফা সুলতানা, দ্বাদশ ব্যবসায় শিক্ষার রাকেবাতুল জান্নাত এবং একাদশ বিজ্ঞানের প্রথমা চৌধুরী।
সভাপতির বক্তব্যে বলেন, মরহুম হেলাল হুমায়ুন আজীবন এলাকায় উচ্চ শিক্ষার বিস্তার বিশেষত নারী শিক্ষার অগ্রগতির লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন। তিনি শিক্ষার পাশাপাশি এলাকায় বিদ্যুতায়ন, রাস্তাঘাট উন্নয়নসহ সার্বিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, হেলাল হুমায়ুন সাহেব পরোপকারী, অতিথি পরায়ণ ও একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি আরো বলেন, যে সমাজে গুণীজনের কদর নেই সে সমাজে গুণীজন জন্মায় না। তিনি শিক্ষার্থীদের কে মরহুমের আদর্শ অনুসরণ করে পরিবার এবং সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে আরও বলেন, মরহুম হেলাল হুমায়ুন এলাকায় উচ্চ শিক্ষার বিস্তার বিশেষত নারী শিক্ষার অগ্রগতির লক্ষ্যে কলেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন। তিনি শিক্ষার পাশাপাশি এলাকায় বিদ্যুতায়ন, রাস্তাঘাট উন্নয়নসহ সার্বিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন।
তিনি শিক্ষা এবং সমাজের উন্নয়নে যে কোন পরিকল্পনা গ্রহণের পর তা বাস্তবায়নেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতেন। অন্যান্য বক্তারা বলেন, প্রত্যেক জীবকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে কিন্তু কিছু কিছু মৃত্যু আছে তাঁদের মৃত্যুর পরেও তাঁদের কর্মগুলো আজীবন মানুষের মাঝে বাঁচিয়ে রাখে। মরহুম হেলাল হুমায়ুন সাহেবও এমন একজন গুণী ব্যক্তি ছিলেন, তাঁর কর্মের জন্য তিনি এ এলাকায় চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাই আমাদের সকলের তাঁকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা এবং সম্মান জানানো উচিত।
তিনি শিক্ষা এবং সমাজের উন্নয়নে যে কোন পরিকল্পনা গ্রহণের পর তা বাস্তবায়নেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতেন। তাঁর শ্রদ্ধেয় পিতা মরহুম ইসমাঈল হিলালীও একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ছাত্র জীবনের প্রতিটি স্তরে মেধার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। মরহুম ইসমাঈল হিলালীর ক্রয় করা নিজস্ব জমি থেকে আলহাজ্ব হেলাল হুমায়ুন তাঁর নিজের অংশ কলেজের জন্য দান করেছেন।
আলোচনা সভা শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জনাব মোঃ জামাল উদ্দিন হায়দার।মরহুমদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সকালে বাইতে খোদা জামে মসজিদে খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মরহুমদ্বয়ের কবরে জেয়ারতের পর ছাত্র-শিক্ষকদের সাথে নিয়ে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মোঃ জামাল উদ্দিন হায়দার।