আজ : শুক্রবার ║ ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : শুক্রবার ║ ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২৬শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ১১ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

আনোয়ারার হাইলধরের বীর মুক্তিযোদ্ধা পেছু মিয়ার পরিবারের উপর হামলা ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর হেটিখাইন নিবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ পেছু মিয়ার পরিবারকে সন্ত্রাসী ফোরকান গং কর্তৃক হামলা ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে ৩০ এপ্রিল, মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম একাডেমি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ পেছু মিয়ার বড় ছেলে মুহাম্মদ শহীদুল আলম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আলহাজ্ব মুহাম্মদ পেছু মিয়া একজন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের রণাঙ্গনের সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা। মহান স্বাধীনতার স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর অনুপ্রেরণায়।

 

আনোয়ারা থানার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইউছুফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুল হকের নেতৃত্বে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তাছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবদুছ ছবুরের প্রেরিত পটিয়া থেকে ৪৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান এর নেতৃতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ পেছু মিয়ার বাড়ীতে দীর্ঘ ১ মাস মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান করে যুদ্ধ কার্যক্রম চালান।

 

তিনি (মুহাম্মদ পেছু মিয়া) হেটিখাইন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পশ্চিম হেটিখাইন বাইতুন নুর শাহী জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ও দাতা সদস্য। আমি (শহীদুল আলম) একজন ব্যবসায়ী এবং হাইলধর ইউনিয়নের ০৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি, আমার ছোট ভাই যথাক্রমে- মোহাম্মদ শফিকুল হক দুলু একজন বেসরকারী চাকুরীজীবী ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য এবং হেটিখাইন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি, আমার ছোট ভাই মুহাম্মদ একরামুল হক মামুন হেটিখাইন গ্রামের একজন ব্যবসায়ী ও আমার ছোট ভাই মোহাম্মদ মুমিনুল হক হামিদ চট্টগ্রাম শহরের একজন ব্যবসায়ী ও আনোয়ারা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য এবং ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।

 

আমি ও আমার পুরো পরিবার আপাদমস্তক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বীবিত। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন-হেটিখাইন গ্রামে আমাদের বাড়ী। অত্র অঞ্চলের মহান স্বাধীনতার পক্ষে যে কয়েকটি পরিবার সর্বপ্রম এগিয়ে এসেছিল তারমধ্যে আমাদের পরিবার অন্যতম। পৃথিবীর ইতিহাসে সত্যের বিপরীতে যেভাবে মিথ্যা ছিল, ঠিক সেভাবে আমাদের অঞ্চলে ৭১ এর ঘাতক, আলবদর, আলশামস’র দোসর, জামাত-শিবিরের এজেন্ট ফোরকান গং ধারাবাহিক এলাকায় সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধী বিভিনড়ব কার্যকলাপে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত।

 

এলাকায় এমন কোন অপকর্ম নাই যা ফোরকান গং সংঘটিত করে না। উক্ত ফোরকান গং মুখোশধারী ভদ্রবেশী পরষ্পর সংঘবদ্ধ, অস্ত্রধারী, জোর-জুলুমবাজ, ভূমিদস্যু, জবরদখলকারী, চাঁদাবাজ, অস্ত্র, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী লোক। উক্ত ফোরকান গং সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং এর নেতা মোঃ শিবলু ও ইমরান হোসেন সবুজকে নিয়ে নিরীহ লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জায়গা দখল, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ড সংঘটিত করে থাকে।

 

তাছাড়া বিগত ২০০১ সালের ১ অক্টোবর জামাত শিবির সমর্থিত জোট সরকার ক্ষমতায় আসলে উক্ত ব্যক্তিগণ এলাকার বিভিন্ন নিরীহ মানুষকে রাজনৈতিক গায়েবী, নামে বেনামে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা দিয়ে অসহনীয় হয়রানী করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা এলাকার ১৮ জন বঙ্গবন্ধুর সৈনিককে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে হয়রানী করে। সেই মামলায় ২০১৪ সালে বিজ্ঞ আদালত মামলা সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় আমাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

 

ফোরকান, পিতা- কবির আহমদ, কামাল উদ্দীন, পিতা- কবির আহমদ, লোকমান হোসেন, পিতা- আবুল হোসেন, ইমরান হোসেন, পিতা- লোকমান, শাহা আলম, পিতা- মৃত কবির আহমদ, সুফিয়া খাতুন, স্বামী-কবির আহমদ, রাবেয়া বসরী, পিতা-কবির আহমদ গং এলাকার কিশোর গ্যাং এর নেতা শিবলু প্রকাশ বন্দুক শিবলু, পিতা- আবুল হাসেম, সাং- ৫নং ওয়ার্ড, হাইলধর ইউপি, হেটিখাইন, থানা- আনোয়ারা, জেলা- চট্টগ্রাম এর মাধ্যমে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

 

বিগত ১১ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১১টার দিকে উল্লেখিত ব্যক্তিগণ ক্যাডার শিবলুর মাধ্যমে আমাদের ঘরের সামনে এসে ওপেন অস্ত্র দিয়ে হামলা দেয়। তাৎক্ষনিক আনোয়ারা থানা পুলিশ এসে আমাদেরকে রক্ষা করেন। নাহয় আমরা ঐদিন তাদের পরিকল্পিত হত্যার স্বীকার হতাম। ইতিপূর্বে কামাল গং একাধিক সংবাদ সম্মেলন করে জাতিকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে, আমাদের পরিবারকে কটুক্তি করে মানহানিকর বক্তব্য উপস্থাপন করেছে। আমরা পত্রিকার মাধ্যমে তার তীব নিন্দা জানিয়েছি।

আপনারা যার সংবাদকর্মী ভাইয়েরা আছেন আপনাদের নিকট আকুল আবেদন যে কোন সংবাদ সত্য মিথ্যা যাচাই পূর্বক প্রচার ও প্রকাশ করলে আপনাদের প্রতি সাধারণ জনগনের শ্রদ্ধা, আস্থা ও ভালোবাসা আরো বেড়ে যাবে নিঃসন্দেহে। বিগত ১৮ এপ্রিল বিকাল ০৪.২৩ মিনিটে ০১৩১০-৭৫১২১৯ নাম্বার থেকে আমার ভাই মোহাম্মদ শফিকুল হক দুলুকে হুমকি প্রদান করে। বিগত ১৫ এপ্রিল উপরে উল্লেখিত ব্যক্তিগণ শিবলুর নেতৃত্বে কর্ণফুলী ব্রীজ সংযুক্ত রোডের কিশোর গ্যাং সিন্ডিকেটের সদস্যদের দিয়ে আমার ছোট ভাই মোহাম্মদ মুমিনুল হকের উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।

উক্ত আক্রমণের স্বীকার হয়ে আমার ভাই গত ১৫ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিল। উল্লেখিত ঘটনা নিয়ে বর্তমানে বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, চট্টগ্রাম এ মামলা চলমান। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, আমাদের মা, গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা, মাননীয় আইনমন্ত্রী, মাননীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক, চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি, পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগীতা ও হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি। যে কোন মুহুর্তে আমার পিতাসহ আমার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশ করতে পারে।

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুহাম্মদ পেছু মিয়া, ইউপি সদস্যা মোছাম্মৎ মোরশেদা বেগম, মুহাম্মদ একরামুল হক মামুন, মোহাম্মদ মুমিনুল হক হামিদ, মুহাম্মদ জানে আলম, জালাল উদ্দিন, জহিরুল ইসলাম, শহীদুল আলম, খোরশেদা বেগম, রাশেদা বেগম, মুহাম্মদ শামীম, মুহাম্মদ রিয়াদ হোসেন জুনাইদ, জোবায়ের রেজভী প্রমুখ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ