দেশচিন্তা ডেস্ক : চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার যতবার তাদের অপকর্মের জন্য জাতির সামনে অপদস্ত হয়েছে ততবার তারা জিয়াউর রহমান ও জিয়া পরিবারকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করেছে। জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনায় ওঠে পড়ে লেগেছে। অথচ জিয়াউর রহমান শুধু একজন সেক্টর কমান্ডারই ছিলেন না তিনি ছিলেন রনাঙ্গনের বীর সেনানায়ক। তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন আবার অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। তার মেধা ও সামর্থ্যের কারণে তিনি দুইটা সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেছেন। বীর উত্তম জিয়াউর রহমান ছিলেন জেড ফোর্সের অধিনায়ক। স্বাধীনতা পরবর্তী শেখ মুজিবুর রহমান সরকারই তাকে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বীর উত্তম খেতাব দিয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য শহীদ জিয়াকে নিয়ে অশালীন বক্তব্য দিচ্ছে। জিয়াউর রহমান সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা এখন তার বাপকেও অস্বীকার করছে।
তিনি বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকালে ঘাট ফরহাদবেগ এলাকায় পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ২০ নং দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে ঈদ উপহার ও ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দেশের জনগণ আওয়ামীলীগের এই সমস্ত আজগবী প্রলাপ বিশ্বাস করে না। এই সরকার যা বলে জনগণ তার উল্টা ভাবে। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারকে মিথ্যবাদী, দুর্ণীতিবাজ, ভোট ডাকাত, মাফিয়াদের আশ্রয়দাতা মনে করে। তিনি নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের পতনের আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করার আহবান জানান।আবুল হাশেম বক্কর বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামীলীগের অনেক নেতা যখন পার্শবর্তী দেশে চলে গিয়েছিলেন। তখন নেতৃত্বশূণ্য এই জাতিকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এসেছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিলেন। যতদিন বাংলাদেশের পতাকা থাকবে, ততদিন শহীদ জিয়া বাংলাদেশের মানুষের অন্তরে অমর হয়ে থাকবেন।
দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড বিএনপির সহ সভাপতি মো. জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও আবুল কালামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা মো. ইদ্রিস আলী। উপস্থিত ছিলেন আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবুল বশর, কোতোয়ালি থানা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক দিপক চৌধুরী কালু, বিএনপি নেতা মো. ইলিয়াস সর্দার, আবু বক্কর, ফতেহ আলী, আবুল হাসেম, মহানগর যুবদলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আলাউদ্দীন সুজন,
সহ সম্পাদক মো. সালাউদ্দীন, মো. মহিউদ্দিন, সাবেক ছাত্রদল নেতা সৌরভ প্রিয় পাল, মাঈনুদ্দীন খান রাজিব, ছাত্রদল নেতা মো. রাফসান, মো. হানিফ, শাহনেওয়াজ তোশান, মুনির আবদুল্লাহ রাফি, মো. নাবিল, ভুলু, মালু, বাহাদুর প্রমূখ।