
এস এম জাকারিয়া, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে নানারকমের ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্ম নিতে দেখা যায়। তেমনি এক খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনার শিকার হয়েছে নাজিয়া ইসলাম (১১) নামের একজন শিশু শিক্ষার্থী। ঘটনার শিকার নাজিয়া জোরারগঞ্জের মরগাং এলাকার তালিমুন নেছা মহিলা মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
তাকে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে, এ সময় তাকে রক্ষা করতে গিয়ে তার বাবা নজরুল ইসলামও আহত হয়েছেন। তারা জোরারগঞ্জ থানাধীন ৫নং উসমানপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
আশপাশের লোকজন থেকে জানা যায় প্রতিবেশী সাইফুল হুদার সাথে বাড়ির পুকুর ঘাটে আশা যাওয়ার পথের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো দীর্ঘদিন ধরে।
আজ ৩০ মার্চ শনিবার দুপুরে এ বিষয় নিয়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংশার বৈঠক চলছিলো। উক্ত বৈঠক চলার সময় নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলো এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটির শুরু হলে সাইফুল হুদার ছেলে নাঈমুল হুদা, আরাফাত সহ আরো কয়েকজন মিলে নজরুল ইসলামের উপর অতর্কিত হামলা করে। এসময় মেয়ে নাজিয়া বাবার চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে আসলে তাকে তারা মাথায় কুপিয়ে জখম করে। যার কারণে তার মাথায় ৭/৮ টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বাবা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল হালিম বলেন, উসমানপুরের ঘটনায় না জিয়ার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের খুব দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।