ফারুকুর রহমান বিনজু, পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামে পটিয়া আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম জমিরিয়া মাদ্রাসায় এলাকায় আজ ২৮ রবিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদকে কেন্দ্র করে মহাপরিচালক মাওলানা ওবাইদুল্লাহ হামযার সাথে মাওলানা আবু তাহের নদবীর দুই গ্রুপের মাদাসার ছাত্রদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে ঘটনার সুত্রপাত ঘটে।
এ সময় উভয় পক্ষে ১৫ জন মাদ্রাসার ছাত্র আহত হয়েছে। আহতরা হলেন,খালেক (২০) আরজ (২৪) আজাদ (২২),তামজিদ (১৮), আবদুল্লাহ (২০), আতাউর রহমান (২৫),ইমরান (২৪) আইয়ুব (২০) রিয়াদ, তালহা (২৫), শেখ মো মাহফুজল হক (২৩) সহ উভয় পক্ষে ১৫ জন মাদ্রাসার ছাত্র আহত হয়েছে।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, খবর পেয়ে পটিয়া থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্হল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ মাদ্রাসার আহত ১৫ জন ছাত্রকে পটিয়া উপজেলার স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভক্তি করা হয়। এবং পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এ সময় এ বিষয়ে আল-জামিয়াতুল মাদাসার সম্মেলন কক্ষে রবিবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে মাদরাসা শিক্ষকরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাওলানা আনোয়ার হোসেন রব্বানী।
তিনি লিখত বক্তব্যে মাধ্যমে জানিয়েছেন, ২৮ অক্টোবর মহাপরিচালক মাওলানা ওবাইদুল্লাহ হামযার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তারা উপর ক্ষেপে পড়েন। তাকে শুরা নির্ধারণের সময় উল্লেখ করতে বলে মাওলানা ওবাইদুল্লাহ হামযার গড়িমসি করেছেন। এতে ছাত্ররা তার পদ ত্যাগের দাবি নিয়ে আন্দোলন করেন। তিনি বাধ্য হয়ে ২৯ অক্টোবর ভোরে স্বেচ্ছায় মাদরাসা ত্যাগ করেন।
তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতি ও ছাত্র শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণ কারণে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র শিক্ষকদের আন্দোলন মুখে পড়েন ওবাইদুল্লাহ হামযা গত ২৮ অক্টোবর স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। ২৯ অক্টোবর সূরা কমিটির বৈঠকে তাকে মাদরাসার সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি অব্যাহতি পাওয়ার পর এ মহাপরিচালক পদে পূর্ণরায় মাদরাসায় স্বপদে বহাল রাখার জন্য বিভিন্ন টালবাহানা করছে।ওবাইদুল্লাহ হামযা প্রায় তিন মাস ধরে ৫ দফায় বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে মাদরাসায় প্রবেশের চেষ্টা চালায়।
ওবাইদুল্লাহ হামযা ব্যতিত যে কোনো কাউকে মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে মাদরাসার শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা এবং প্রায় ২৩ টি বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতি অসদাচরণ কারণে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র শিক্ষকদের আন্দোলন মুখে পড়েছেন। কিন্তু তিনি অব্যাহতি পাওয়ার পর এ মহাপরিচালক পদে পূর্ণরায় মাদরাসায় স্বপদে বহাল রাখার জন্য বিভিন্ন টালবাহানা করছে । ওবাইদুল্লাহ হামযা বহিরাগতরা হামলা সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পটিয়া থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। সূরা কমিটির বৈঠকে মহাপরিচালক মনোনীত করা বিষয়কে কেন্দ্র করে ওবাইদুল্লাহ হামযা ব্যতিত যে কোনো কাউকে মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে মাদরাসার শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য ছাত্ররা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের কাছে জোড় দাবি জানান। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।