
ফারুকুর রহমান বিনজু, পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারের শুরু থেকে পটিয়া (চট্টগ্রাম -১২) আসনে নির্বাচনী সহিংসতা ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রতিদ্বন্দিতা প্রার্থী ও সমর্থকদের প্রচারের সময় মুখোমুখিতে উভয়ের মাঝে আতংক সৃষ্টি হওয়া,সমর্থকদের উপর হামলা, পাল্টা হামলা, নির্বাচনী ক্যাম্প, গাড়ি ভাংচুর, ব্যানার পোষ্টার ছেঁড়ার ঘটনা অহরহ ঘটছে।
সাধারন মানুষের মাঝে নির্বাচনের আনন্দ উৎসাহ আমেজের চেয়েই কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে কিনা সেদিকে আতংকে ভুগছে। পটিয়ায় গত কয়েকদিন স্বতন্ত্রপ্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা, ক্যাম্প ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে বেশী। পোষ্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে নৌকার সমর্থক তৌহিদ ও ঈগলের হায়দার আলম ২ জন আহত হন।
নির্বাচনী প্রচারনার অফিস উদ্বোধনের দিন ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের অফিসে আসতে রাস্তায় বাধা দেয় নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা। ইন্দ্রপুল, হাবিলাসদ্বীপ, পাচুরিয়া, চনহারা, আমলদারপারা, জিরি ফকির মসজিদ, শান্তিরহাট, কুসুমপুরা, বাকখাইন, মেহের আটি সহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা ঈগল প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা, হয়রানি, মারধর, ক্যাম্প ভাংচুর করে আসছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে আসছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী ও বর্তমান হুইপ সামসুল হক চৌধুরী।
এ ব্যপারে নৌকার প্রাথী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক হারুনুর রশিদ বলেন তাদের সমর্থকরা এসব ঘটনার সাথে জড়িত নন। বরং স্বতন্ত্র প্রার্থী ক্ষমতায় থাকা কালীন তার হাতে যারা হয়রানীর শিকার হয়ে ছিলেন তারাই ক্ষোভের মুখে এ সব ঘটাচ্ছে।
পটিয়া থানার পরিদর্শক তদন্ত মো: সোলায়মান বলেন হামলা এ ক্যাম্প ভাংচুরের ২টি ঘটনার স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ হতে রেকর্ড করা হয়। তবে নৌকা প্রার্থী সমথর্কদের হামলা ভাংচুরের কোনো অভিযোগ এখনও পাইনি।