পাবনা জেলা সংবাদদাতা : পূর্ব বিরোধের জের ধরে পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার ০২ (দুই) ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বাড়িঘর ভাংচুর, সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে (১৭ ডিসেম্বর)রোববার সকাল ৭ টার দিকে উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে। আহতদের সাঁথিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নাগডেমড়া ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের সমর্থক এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও নাগডেমরা ইউনিয়ন আ’লীগের ‘খ’ অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল।
নিরাপত্তাহীনতার কারণে হাফিজ চেয়ারম্যান ও তার সমর্থকরা দীর্ঘদিন গ্রামে আসতে পারছিলনা। বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজ বাড়ি আসলে ঐদিন সকালে উভয় গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে সংঘর্ষে বেধে যায় । এ সময় শাহ আলম, রতন, সাইদ, বিল্লাল, আবুল ফকির, মজিবর ফকির, ফখরুল, নজরুল, রহম, জিহাদ, আলম, সাইফুল, পলাশ সরকারের বাড়িসহ অন্তত ১০/১২ টি বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে এ সময়-হাবিল, মতিন, হাসান, মিজানুর, শিহাব, সুমন আহমেদ টুকু, রাকিব,কুলবুল, আবু দায়েন, আব্দুস সামাদ, ফজর আলীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের সাঁথিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নাগডেমড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের অত্যাচারে আমি ও আমার সমর্থকরা দীর্ঘদিন এলাকা ছাড়া ছিলাম। রোববার আমি ও আমার সমর্থকরা এলাকায় আসলে সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ ও তার সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে আমার এবং আমার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে এবং মরধর করে। আমি এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এদিকে নাগডেমড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, হাফিজ চেয়ারম্যান তার সমর্থকদের সাথে করে রোববার এলাকায় ঢোকে এবং আমার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।