
ঢাকা ব্যূরো : গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্য জাতীয় পার্টিকে বিশ্বাস করা যায় না’ এ বিষয়ে তেমন কিছু বলতে চান না দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে আমার কোনও কথা বলার সুযোগ নেই। আমাদের বিশ্বাস করবেন কি না, করেন কি না; সেটা উনার বিষয়। এ বিষয়ে আমাদের কোনও কমেন্টস নেই’। (১২ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সাংবাদিকের এসব কথা বলেন তিনি।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, নির্বাচনে আসছি নির্বাচন করার জন্য, চলে যেতে নয়। কেউ যদি বিশ্বাস না করেন, সেটা উনাদের বিষয়। আমরা বিশ্বাস-অবিশ্বাসের প্রশ্নে নেই। নির্বাচন হলো সরকার পরিবর্তনের পথ। এবারের ভোটে যেহেতু বিএনপি আসেনি, অ্যান্টি আওয়ামী লীগ ভোট অনেক বেশি। সেই ভোট আমরা পাবো। এটা আশা করে নির্বাচনে এসেছি। সেই ভোটটা পেতে গেলে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ দরকার। পরিবেশ যদি হয়, তাহলে এবার আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছি।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি ইসি ও সরকারের কাছে শুধু ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ চেয়েছে। আর এটাই আমাদের মেইন দাবি। এটুকু হলেই নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার কোনও অবকাশ নেই।
‘নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে আমার নেতাকর্মীদের এলাকায় কারও কাছে ভোট চাওয়া, জনসংযোগ-প্রচার করতে মানা করেছি। প্রার্থীরা এলাকায় আছেন। জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। সাংগঠনিক কাজকর্ম করে যাচ্ছেন’ বলেও জানান তিনি।
ম্যাডাম ভোটে এলে আমাদের জন্য ভালো হতো, কর্মীরাও খুশি হতো। ম্যাডাম না আসায় আমরা দুঃখিত- এমন মন্তব্য করে রওশন এরশাদ বলেন, ম্যাডাম আমাদের পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক। উনি নির্বাচন করুক, উনার ছেলে করুক এবং উনার (রওশন এরশাদ) ইচ্ছামতো আরেকজন করুক। তিন জনের জন্য মনোনয়নপত্র নিয়ে আমরা অপেক্ষা করেছি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনের আগের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত বসেছিলাম। রওশন এরশাদকে বলেছি, আপনি চাইলে আমি নিজে আপনার বাসায় মনোনয়নপত্র নিয়ে যাবো। কিন্তু উনি আমাকে মনোনয়ন নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেননি। পরে রওশন এরশাদ বলেছেন, তিনি নির্বাচনে যাবেন না।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে রওশন এরশাদের গণভবনে যাওয়ার বিষয়ে চুন্নু বলেন, উনি গণভবনে গিয়েছেন কি না, সেটি আমি জানি না। তবে উনি যেতেই পারেন। যে কোনো মানুষের যাওয়ার সুযোগ আছে। রওশন এরশাদ সংসদের বিরোধীদলের নেতা। তিনি সংসদের নেতার (শেখ হাসিনা) সঙ্গে যে কোনো সময়, যে কোনো বিষয়ে দেখা করতেই পারেন।
এ সময় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, জহিরুল আলম রুবেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।