শহিদুল ইসলাম শহিদ, বান্দরবন প্রতিনিধি : সন্ত্রাস বিরোধী যৌথ বাহিনীর চলমান অভিযানে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার পর এবার আরও দুটি উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। উপজেলাগুলো হলো থানচি ও আলীকদম। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এই চারটি উপজেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবে না বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
রবিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বান্দরবানের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপসচিব মো. লুৎফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশনার কথা জানানো হয়।
ওই চিঠিতে জানানো হয়, মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন চারটি উপজেলায় সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির কারণে সেখানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলছে যত বাহিনীর। এ সময়ে পর্যটকরা যাতে আক্রান্ত না হয় সেই লক্ষ্যে আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এ চারটি উপজেলায় পর্যটক যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
গত ১৮ অক্টোবর বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় পর্যটক যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়। এবার বন্ধ করে দেয়া হলো থানচি ও আলীকদম উপজেলায়। চারটি উপজেলায় পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ থাকায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বিভাগে পড়েছেন। বন্ধ হয়ে গেছে পর্যটকবাহী গাড়ি ও ঐ এলাকার হোটেল মোটেলগুলো। থানচি বেড়াতে আসা পর্যটকরা এ নিষেধাজ্ঞার পর অনেকে শহরে আটকা পড়েছেন। বাধ্য হয়ে তারা গন্তব্যে ফিরে যাচ্ছেন।
এদিকে বান্দরবানের মায়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় সেনাবাহিনী ও র্যাবের সমন্বিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত ২১ শে অক্টোবর অভিযানে বান্দরবান রাঙ্গামাটি সীমান্ত এলাকা থেকে নতুন গজিয়ে ওঠা জঙ্গিসংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সাত সদস্য ও সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কুকিচীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট এর তিনজন সহ মোট ১০ জনকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র গুলি সরঞ্জামসহ আটক করে যৌথ বাহিনী।