নিজস্ব প্রতিবেদক: খুশি ডিলার, চালকসহ সংশ্লিষ্টরা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ ( বিআরটিএ) চট্টগ্রাামের বিভাগীয় কার্যালয় দুই দিনে প্রায় ৭শ’ সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ক্র্যাপকরণ শেষ করেছে। এতে খুশি ডিলার, চালকসহ সংশ্লিষ্টরা।
গত বুধবার থেকে সরকারের নির্দেশনায় এসব সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ক্র্যাপকরণ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। আজ শুক্রবারও ৩০০ টির মত সিএনজি চালিত অটোরিক্সা স্ক্র্যাপকরণের কথা রয়েছে। বিআরটিএ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় স্ক্যাপকরণ করে ঝুকিপূর্ণ সিএনজি চালিত অটোরিকশাগুলো অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে।
বিআরটিএ’র কর্মকর্তারা জানান, ২০০৫ মডেলের ১০০৫টি মেয়াদোত্তীর্ণ সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ক্র্যাপকরণের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এ অনুযায়ী সিএনজি চালিত অটোরিক্স স্ক্র্যাপকরণ চলে।
২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১৩ হাজার সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিবন্ধন দিয়েছিল। এই সব সিএনজি অটোরিকশা নিবন্ধনের সময় মেয়াদ বা আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ বছর। পরে মালিক ও চালকদের দাবির মুখে তিন দফায় অটোরিকশাগুলোর মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫ বছর করা হয়। ১৩ হাজার সিএনজি অটোরিকশার আয়ুষ্কাল সর্বশেষ গাড়ির গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়।
২০১৭ সাল থেকে কয়েকটি সিএনজি অটোরিকশার সিলিন্ডারবোমার আঘাতে প্রাণ দিতে হয়েছিল তিনজন যাত্রী ও চালককে। এছাড়াও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়েছিল আরো পাঁচজন যাত্রী। এমন ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছিল বিআরটিএ। মালিক শ্রমিক সংগঠন গুলোর চাপে ও সরকারের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ হিসেবে পরিবেশগত ক্ষতির প্রভাবমুক্ত হতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ২০০১, ২০০২ ও ২০০৩ মডেলে প্রস্তুতকৃত এমন সাড়ে আট হাজার সিএনজি অটোরিকশা ও ২০১৮ ও ২০১৯ সালে বিআরটিএ স্ক্যাপকরণ করে প্রতিস্থাপন করেছিল। করোনার কারণে মেয়াদোত্তীর্ণ ২০০৪ মডেলের সিএনজি অটোরিকশা স্ক্যাপকরণ প্রায় ১০ মাস বন্ধ থাকার পরে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে গতবছরের ১৬ নভেম্বর থেকে ২০০৪ মডেলের ৩৬১৬ টি সিএনজি অটোরিকশা স্ক্যাপ করণ শেষ করেছে বিআরটিএ। ফলে চট্টগ্রাম নগরীতে এখন ১২ হাজার সিএনজি অটোরিকশা সম্পূর্ণ নতুন। ভ্রমনকারী সাধারণ যাত্রীদের কাছে নেই সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিদগ্ধ হওয়ার আতঙ্ক। স্বজন হারানো ভয়ও প্রায় কেঁটে গেছে।
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের বিআরটিএর উপ পরিচালক মো. শফিকুজ্জামান বলেন, সিএনজি চালিত স্ক্যাপকরণ কার্যক্রমটি সরকারের কর্মযজ্ঞের অংশ। বিআরটিএ এখন সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজ প্রতিষ্ঠান। ২০০৫ মডেলের সিএনজি অটোরিকশা স্ক্যাপকরণ কার্যক্রমটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। তবে একটি চক্র সরকারের এই উন্নয়ন কর্মযজ্ঞকে প্রশ্নবিদ্ধ করেতে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে চালিয়েছিল। স্ক্যাপকরণের সময় আমরা বিআরটিএর মাঠে ছিল সরকারের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট, বিআরটিএ কর্মকর্তা, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আপনাদের (সাংবাদিক) উপস্থিতিতে শেষ করা হয়েছে। স্বল্প জনবল নিয়ে সম্পূর্ণ স্বাস্থবিধি মেনে এই কার্যক্রম পরিচালনা করেছি।