চট্টগ্রামে স্থায়ী ও অস্থায়ী ২০৬টি কোরবানির হাট বসবে৷ শহরে ৬টি, উপজেলায় ২০০টি। এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৭১ হাজার গরু বিক্রি হয়েছে।এছাড়াও ১৮টি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে গরু বেচাকেনা হচ্ছে। এ পর্যন্ত সরাসরি খামার থেকে বিক্রি হয়েছে ৩৫ হাজার গরু। সর্বমোট ৭১ হাজার গরু বেচাকেনা হয়েছে। বুধবার (১৪ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রেয়াজুল হক এসব বিষয় নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মানুষ খামার থেকেও গরু কিনছে। গরু কিনে ওই খামারেই রেখে দিচ্ছে। কোরবানির আগের দিন নিয়ে আসবে। এখন যে হারে গরু বিক্রি হচ্ছে, তাতে প্রায় ৬০ শতাংশ গরু বেচাকেনা হয়ে যাবে। বাকি ৪০ শতাংশ বেচাকেনা হবে হাট থেকে। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে সেজন্য ইজারাদার মাইকিং করবে। ক্রেতাদের প্রতি পরামর্শ হলো, অতিরিক্ত লোক আনার দরকার নেই। যত দ্রুত সম্ভব গরু কিনে বাজার ত্যাগ করা।
ডা. রেয়াজুল হক জানান, শহরে ছয়টিসহ চট্টগ্রামে এবার ২০৬টি হাট বসবে। এসব হাটের জন্য অন্তত ৩০টি ভেটেরিনারি চিকিৎসক টিম তৈরি থাকবে। তবে এখানে সুবিধা হলো- এক এক এলাকায় সপ্তাহে একদিন হাট বসবে। সে হিসেবে চট্টগ্রামে দিনে গড়ে ২০টির অধিক হাট বসবে না।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, গরুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পশুর হাট বসানো হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য অস্থায়ী হাটের যে শর্ত রয়েছে, স্থায়ী হাটের ক্ষেত্রেও একই শর্ত। এসব শর্ত মানার জন্য ইতিমধ্যে স্থায়ী হাটের ইজারাদারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।