দেশচিন্তা নিউজ ডেস্ক:
বায়তুশ শরফের পীর বাহরুল উলুম আলহাজ্ব শাহ মাওলানা মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন বলেছেন, সর্বশেষ নবী ও রাসুল হযরত মুহাম্মদ (স:) আমাদের জন্য যে অহী নিয়ে এসেছিল তা পরিপূর্ণভাবে পালনে মুমিনদের পথনিদের্শনা দেয়ার জন্যই পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) উদযাপন করা। ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) থেকে দেশ ও জাতির চলার দিক নির্দেশনা দিতে হবে। তিনি বলেন বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ সেই মহামানবের আদর্শকে সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে পৌঁছে দেয়ার জন্য তামাদ্দুনিক প্রতিযোগিতা, গুণিজন সংবর্ধানা ও আজিমুশশান মাহফিলের আয়োজন করে থাকে। তিনি আরো বলেন, রাসুলে করীম (সা:) এর আনিত মহাগ্রন্থ আল কোরআনের সঠিক ধারণা মুমিনদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে না পারলে সমাজ ব্যবস্থা অপূর্ণাঙ্গ থেকে যাবে। ইসলামী সংস্কৃতি, তাহজীব, তামাদ্দুনকে শিশু কিশোর বয়সে লালন করা এবং তাদেরকে সেই আদলে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে ৪দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি পরিপূর্ণ মুমিন হতে হলে মুহাম্মদ (সা:) এর আদর্শকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সঠিক নিয়মে পালন করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
পীর সাহেব আরো বলেন, আল্লাহ এবং তার রাসুলের (সা:) এর সন্তুষ্টি অর্জন করা ছাড়া কোন মুমিন জান্নাতে যেতে পারবে না। আল্লাহকে পেতে হলে রাসুল (সা:) এর সন্তুষ্টি আবশ্যক। তিনি রাসুলে করীম (স:) এর শানে ৪দিনব্যাপী মাহফিল সফল করার আহবান জানান।
বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশের উদ্যোগে ৪ দিনব্যাপী পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স) উদযাপন উপলক্ষ্যে বায়তুশ শরফে প্রস্তুতি কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে বায়তুশ শরফের পীর বাহরুল উলুম শাহ মাওলানা মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন (ম.জি.আ) উপরোক্ত কথা বলেন।
গতকাল সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সভায় মাওলানা আবদুশ শাকুরের সঞ্চালনায় অনষ্ঠিত প্রস্তুতি কমিটির সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব মোহাম্মদ আমান উল্ল্যাহ খান। আলোচনা পেশ করেন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স:) উদযাপন পরিষদের আহবায়ক লায়ন আলহাজ্ব রফিক আহমদ, মজলিসুল ওলামা বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুর রশীদ নূরী, আলহাজ্ব মাওলানা কাজী নাছির উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা মোহাম্মদ ওবাইদুল্লাহ, মাসিক দ্বীন দুনিয়ার সম্পাদক মুহাম্মদ জাফর উল্লাহ, আলহাজ্ব মীন আনোয়ার আহমদ, মাওলানা আবদুল হাই নদভী, আবুল হায়াত মোহাম্মদ তারেক ও মাওলানা কাজী জাফর আহমদ প্রমুখ।
প্রস্তুতি কমিটির সভায় রবিউল আওয়াল মাসের ৯,১০,১১ এবং ১২ তারিখ চারদিন ব্যাপী পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স:) উদযাপনের বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। তামাদ্দুনিক প্রতিযোগিতা, পাখ-পাখালির আসর, শানে মোস্তফা (সা:) মাহফিল, গুণিজন সংর্বধনা ও আজিমুশশান ওয়াজ মাহফিল সুশৃংখল ও সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করার নিমিত্তে যাবতীয় বিষয় নিয়ে হুজুর কেবলা কমিটি, উপকমিটিসহ সর্বস্তরের দায়িত্বশীলদেরকে দিক নিদের্শনা প্রদান করেন। এ উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত প্রতিযোগি, মেহমান, গুণিজন ও শ্রোতামন্ডলীদের যেন কোন প্রকার কষ্ট না হয় সে ব্যাপারে সকল দায়িত্বশীলদের আন্তরিকভাবে কাজ আঞ্জাম দেয়ার জন্য হুজুর কেবলা সকলের প্রতি আহবান জানান।