
নিজস্ব প্রতিবদেক : বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার কেরানীহাট হক টাওয়ারের সামনে গত ২৬ আগস্ট চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় (চট্টগ্রাম-১৬) বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানকে দায়ী করে তাঁর সংসদ সদস্য পদ শূন্য ঘোষণা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কার এবং হামলাকারীদের কঠোর শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাতকানিয়া ইউনিট কমান্ডের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জাতির বিবেক সাংবাদিকদের উপর হামলা মানে বাংলাদেশের অস্তিত্বের উপর হামলা। এতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদসহ ১২জন সাংবাদিক ও সম্মানিত মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়েছেন। এই হামলা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। একজন সংসদ সদস্য যে কিনা আইন প্রণেতা, তিনি কি করে এমন জঘন্য কাজ করতে পারলেন এ প্রশ্ন জাতির কাছে।
মানবন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে এই ন্যাক্কারজনক হামলার ইন্দনদাতা ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান। সাতকানিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ইউনিট কমান্ডার মোহাম্মদ আবু তাহের (এলএমজির) সভাপতিত্বে ও ডেপুটী কমান্ডার মিলন কুমার ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ইউনিট কমান্ডের সাংগঠনিক মুক্তিযোদ্ধা অরুণ কান্তি মজুমদার, মুক্তিযোদ্ধা আহমদ মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা সমর চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা রনেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, খোরশেদ আলম পাশা, জাবেদ ইকবাল ও জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর।
সমাবেশ শেষে এমপি মোস্তাফিজের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। এবং এমপি মোস্তাফিজুর রহমানের সংসদ সদস্য পদ বাতিলসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কারের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করে।