আজ : শুক্রবার ║ ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : শুক্রবার ║ ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২৬শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ১১ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

ভারতের শেয়ারবাজার বন্ধ করে ‘তোলা’ হলো

করোনাভাইরাস আতঙ্কে ১৩ মার্চ শুক্রবার লেনদেনের শুরুতেই বড় ধস নামে ভারতের শেয়ারবাজারে। ফলে লেনদেন শুরুর কিছুক্ষণ পরেই শেয়ারবাজারের লেনদেন বন্ধ করে দেয়া হয়। ৪৫ মিনিট বন্ধ থাকার পর আবার লেনদেন শুরু হলে পতন কাটিয়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফেরে ভারতের শেয়ারবাজার।

এর আগে করোনাভাইরাস আতঙ্কে গত সোমবার বিশ্ব শেয়ারবাজারে বড় ধস নামে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে ইউরোপ, এশিয়া থেকে অস্ট্রেলিয়া-প্রতিটি অঞ্চলের শেয়ারবাজারে বিরাট ধস দামায় দিনটিকে ‘ব্ল্যাক মানডে’ বলা হয়।

২০০৯ সালে বিশ্বজুড়ে যে আর্থিক সংকট দেখা গিয়েছিল, তারপর এরকম বিপর্যয় আর শেয়ারবাজারে দেখা যায়নি বলে ওইদিন বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়। বিবিসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বড় ধসের পর ওয়াল স্ট্রীটের শেয়ার বাজারে লেনদেন বন্ধ রাখা হয় কিছুক্ষণের জন্য। তার আগে বড় ধসের মুখে পড়লে পাকিস্তানের শেয়ারবাজারেও লেনদেন কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়।

বিশ্ব শেয়ারবাজারের এই নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারেও স্মরণকালের সব থেকে বড় ধস দেখা যায়। সোমবার শেয়ারবাজারে লেনদেনের শুরুতেই বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। দিনভর থাকে সেই ধারা। ফলে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায়। বিপরীতে দাম কমে ৩৫২টির। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৭৯ পয়েন্ট কমে যায়।

এরপর গত কয়েকদিন বিশ্ব শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রবণতা থাকলেও লেনদেন বন্ধ করে দেয়ার ঘটনা ঘটেনি। তবে আজ শুক্রবার ভারতের শেয়ারবাজারে লেনদেনের শুরুতে দরপনত এতটাই ভয়াবহ রূপ নেয় যে লেনদেন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের ধাক্কায় বাজারের পতন এতটাই যে ৪৫ মিনিটের জন্য বন্ধ রাখতে হলো শেয়ার কেনাবেচা। সেনসেক্স ও নিফটি দুই সূচকই ‘লোয়ার সার্কিট’-এ পৌঁছে যাওয়ায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) এবং ন্যাশনাল ফিফটি (নিফটি)।

তবে সেই ৪৫ মিনিট কাঁটতেই ঘুরে দাঁড়াল শেয়ারবাজার। ৩০০০ পয়েন্টেরও বেশি নেমে যাওয়া সেনসেক্স পতন কাটিয়ে উর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরেছে। স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩৩ মিনিটে সেনসক্স ১৫৮৪ পয়েন্ট বেড়ে ৩৪ হাজার ৫৭৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

শুক্রবার সকালে ১৫০০ পয়েন্ট নীচে নেমে খোলে সেনসেক্স। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেই পতন ছাড়িয়ে যায় ৩০০০ পয়েন্টেরও বেশি। আর নিফটিও খোলে প্রায় ৫০০ পয়েন্ট নীচে। ৯৬৬ পয়েন্ট নেমে ৮৬২৪ পয়েন্টে থেমেছিল নিফটির সূচক। এরপরই ৪৫ মিনিটের জন্য শেয়ারবাজরে লেনদেন বন্ধ করে দেয় হয়।

এর আগে ২০০৪, ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে ভারতের শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ রাখা হয়। এর মধ্যে ২০০৯ সালে অবশ্য উল্টো পরিস্থিতি ছিল। ওই সময় বাজার ব্যাপক হারে ওপরে ওঠার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল লেনদেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ