
সন্ধ্যা রানীর বয়স মাত্র ১৬। মঙ্গলবার আত্মহত্যা করেছেন এই কিশোরী। পুলিশ এই খবর পাওয়ার পর ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ নিতে যায়। মেয়ের ময়নাতদন্ত ঠেকাতে মরিয়া সন্ধ্যা রানীর বাবা। পুলিশ যখন মরদেহ টেনে নিয়ে যাচ্ছিল হাসপাতালের দিকে, তখন ফ্রিজার বক্সের সামনে গিয়ে লাশ টেনে ধরে কান্না করতে থাকেন সন্ধ্যার বাবা।
এ সময় পুলিশ সদস্যরা মাটিতে লুটিয়ে কান্না করতে থাকা সন্ধ্যার বাবাকে উপর্যুপরি লাথি মারতে থাকেন। এই দৃশ্য এক ব্যক্তি মোবাইলে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়লে মুহূর্তের মধ্যেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। বুধবার ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ তামিলনাড়ুর রাজধানী হায়দরাবাদের পতনচেরুর একটি হাসপাতালে এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা যায়।
সিয়াসাত ডেইলি বলছে, ফ্রিজার বক্সে করে যখন মেয়ের লাশ নিয়ে হাসপাতালের প্রবেশদ্বারে আসেন পুলিশের কয়েকজন সদস্য; তখন তাদের সামনে গিয়ে মাটিতে শুয়ে পড়েন সন্ধ্যার বাবা। এই বাবার প্রতি কোনও ধরনের সহমর্মিতা না দেখিয়ে পতনচেরুর নারায়না কলেজ হাসপাতালের রাস্তা পরিষ্কার করার জন্য উপর্যুপরি লাথি মারেন পুলিশ সদস্যরা।
নারায়না রেসিডেন্সিয়াল ক্যাম্পাসে উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষে পড়তেন এই কিশোরী। মঙ্গলবার ক্যাম্পাসের হোস্টেলের বাথরুম থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয় তার। এ খবর পাওয়ার পর সেখানে গিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে মেয়ের আত্মহত্যার ব্যাখ্যা চান বাবা-মা। কিন্তু তারা কোনও ধরনের জবাব না দিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে পাঠানোর চেষ্টা করে।