
এইচ. এম. সাইফুদ্দিন:
ফটিকছড়িতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অনিয়ম-দুর্নীতি, ইলেক্ট্রিশিয়ান ও কুঠির ঠিকাদারদের ঘুষ বানিজ্যসহ নানা অনিয়ম বন্ধের দাবিতে ২৪দফা দাবি আদায়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছে ” ফটিকছড়ি পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক কল্যাণ সমিতি “।আজ (২অক্টোবর) দুপুর বারোটায় সমিতির সভাপতি মন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক এনামুল হক চৌধুরী ও সম্পাদকমনন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ আলী চৌধুরী সাক্ষরিত এক স্মারকলিপি সমিতির অন্যান্য দায়িত্বশীল ও ক্ষুদ্ধ গ্রাহকগণ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা, ফটিকছড়ি থানা, ফটিকছড়ি পৌরসভা মেয়র ও ফটিকছড়ি ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) বরাবর পৃথক পৃথকভাবে প্রদান করা হয়। এসময় গ্রাহক কল্যাণ সমিতির নেতারা স্মারকে উল্লিখিত দাবিগুলোর আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডিজিএম আবুল কালাম আজাদকে এক মাসের সময় বেধে দেন। অন্যথায় ফটিকছড়ির সর্বস্তরের গ্রাহকদের নিয়ে তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
নেতারা বলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়ার কর্মসূচীকে এগিয়ে নেয়া আমাদের লক্ষ্য। আমাদের আন্দোলন সরকারের বিরোদ্ধে নয় বরং পল্লী বিদ্যুৎ এর কিছু অসাধু ও দুর্নীতিবাজদের বিরোদ্ধে। নেতারা অভিযোগ করেন অফিসে গ্রাহকদের মিটারের আবেদন লুকিয়ে ফেলা হয়, ঘুষ দিলেই কেবল মিটার মিলে। এছাড়াও কুঠির ঠিকাদার ও ইলেক্ট্রিশিয়ানরা দুর্নীতির মাধ্যমে অসহায় গ্রাহকদের থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।রিডিং চার্জ, সার্ভিস চার্জের নাম করে গ্রাহকদের কাছ থেকে নিয়ম বহির্ভুত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এসময় ডিজিএম আবুল কালাম আজাদ দাবিগুলোর আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।এদিকে স্মারকলিপি দিতে গ্রাহকগণ বিদ্যুৎ অফিসে গেলে সেখানে অতিরিক্ত বিল এর অভিযোগ নিয়ে বিলের কপিসহ দশ হতে পনেরোজন গ্রাহক জড়ো হন।এতে অন্যান্যদে মাঝে উপস্থিত ছিলেন এ.কে বাবুল আযাদ, মুজিবুল হক চৌধুরী, মু. ইউনুস, গোলাপ, নাসির ও নওয়াজ রাজ প্রমুখ।