আজ : শনিবার ║ ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আজ : শনিবার ║ ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ║২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ║ ১২ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

মানব সভ্যতার ইতিহাসে ইসলামি সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে মহানবী (সা.) এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অবদান অবিস্মরণীয় -পীর ছাহেব বায়তুশ শরফ

দেশচিন্তা নিউজ ডেস্ক:

বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স্ঃ) উদ্যাপন উপলক্ষে চারদিন ব্যাপি ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানমালায় মনোজ্ঞ ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান “পাখ-পাখালির আসর” ৭ নভেম্বর বৃহষ্পতিবার বাদে মাগরিব চট্টগ্রাম বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম আধ্যাত্মিক দ্বীনি শিক্ষা নিকেতন বায়তুশ শরফ দরবারের মাননীয় পীর ছাহেব বাহ্রুল উলূম শাহসূফী আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন (মঃজিঃআঃ) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন- মানব সভ্যতার ইতিহাসে ইসলামি সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে মহানবী (সা.) এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অবদান অবিস্মরণীয়। রাসূলে খোদা একজন পূর্ণাঙ্গ বোধের মানুষ ছিলেন এবং এই পূর্ণাঙ্গ বোধই হচ্ছে ইসলামি সংস্কৃতির পৃষ্ঠভূমি। রাসূল (সা.) ছিলেন সকল কালের, সকল দেশের সকল মানবের আদর্শ পুরুষ। আল্লাহ্ সুবহানাহু তা’আলা তাঁর সম্বন্ধে বলেছেন- লাকাদ কানা লাকুম ফী রাসূলুল্লাহি উসওয়াতুন হাসানা- নিশ্চয় তোমাদের জন্য রয়েছে আল্লাহ ও রাসূলের উত্তম আদর্শ। শিশুকালে তিনি অনাথ-দরিদ্র, বাল্যকালে মেষপালক, যৌবনে ব্যবসায়ী, বিবাহিত জীবনে তিনি স্ত্রী পুত্র-কন্যাদের নিয়ে পূর্ণ সংসারী। সংষ্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক প্রতিটি মানুষ। সংষ্কৃতির বিকাশে রাসূল (সা.) এর অবদান অপরিসীম। মহানবী স. সাহিত্য সংস্কৃতির প্রতি উদার পৃষ্ঠপোষকতার উদাহারণ স্বরূপ বলা যায়- ইসলাম গ্রহণের পর কা’ব ইবনে যুহায়র একটি বিখ্যাত প্রশস্তি গাথা- ‘বানাত সু’আদ’ রচনা করেন। এই ‘বানাত সু’আদ’ কবিতাটি শুনে রাসুল সা. এতোই অভিভূত হয়ে পড়েন যে, তিনি তাঁর নিজ কাঁধ থেকে অতিমুল্যবান চাদরটি কবিকে উপটৌকন হিসেবে দিয়ে তাঁকে বিরল সম্মানে ভূষিত করেন। এমনকি রাসুল পাক স. মসজিদে নববীতে কবি হাস্সান ইবনে সাবিত রা. এর জন্য একটি উঁচু মিম্বরও তৈরি করে দিয়েছেন। সুতরাং সমাজ উন্নয়নে চাই ইসলামী সাংস্কৃতির বিকাশ। সুস্থ সাংস্কৃতিক কর্মকা- উপহার দেয়ার জন্য ইসলামী সাংস্কৃতিক শিল্পীদেরকে নৈতিক গুণে বলীয়ান হতে হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আই.এম.এস.গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব আবুল বশর আবু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা শাহ্ আবদুল জব্বার ফাউন্ডেশন, চট্টগ্রাম এর চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষক আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী, ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ঢাকা এর এক্সিকিউটিব ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ শামসুল হুদা, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন-বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ এর সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ি আল্হাজ্ব এম.এ আবদুল আউয়াল, অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-কেন্দ্রীয় বায়তুশ শরফ জামে মসজিদের খতিব- আলহাজ্ব মাওলানা নুরুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম এর সাবেক বিভাগীয় পরিচালক মাওলানা আবুল হায়াত মোহাম্মদ তারেক, মজলিসুল ওলামা বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুর রশিদ নুরী, মাওলানা কাজী জাফর আহমদ, মাওলানা নুরুল আলম ফারুকী, বায়তুশ শরফ আন্জুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ এর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব লুৎফুল করিম, ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা ওবায়দুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক হাফেজ মোহাম্মদ আমান উল্লাহ, এ.বি.কে মহিউদ্দিন শামীম, আলহাজ্ব মিফতাহুল হুদা, আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম, আলহাজ্ব আহমদ হোসাইন, উপাধ্যক্ষ মাওলানা আমিনুল ইসলাম, আলহাজ্ব আবুল কাশেম খান, মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা ফরহাত আলম, মাওলানা আবদুল খালেক, মাওলানা সিরাজুল হক নদভী, মাওলানা মোহাম্মদ মূসা, আলহাজ্ব মোজাম্মেল হক, ইঞ্জিনিয়ার আবু তাহের, আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন, শাহজাদা মাওলানা মোহাম্মদ ছলাহ উদ্দিন বেলাল, শাহজাদা মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম, হাফেজ মাওলানা নিজাম উদ্দিন, মুহাম্মদ আবদুল খালেক, মাওলানা আবদুশ শাকুর, মাওলানা নুর উদ্দিন মাহমুদ, এহছানুল হক মিলন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন- মাসিক দ্বীন-দুনিয়ার সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ জাফর উল্লাহ।
এ বছর বায়তুশ শরফ আন্জুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে যে তিনজন গুণীব্যক্তিকে সংবর্ধনা দেয়া হবে এবং একজন প্রয়াত গুণীকে স্মরণ করা হবে, তাঁরা হলেন- প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন হিসেবে কর্মজীবনের সূচনালগ্ন হতে সর্বপর্যায়ে ইসলামের সুমহান আদর্শের প্রচার-প্রসার, বিশুদ্ধ কুরআন-হাদিস চর্চা ও শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে স্বীয় ধর্মের সৌন্দর্য্য প্রস্ফুটিত করার ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ জনাব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার, অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। জনাব প্রফেসর ডা. এ.জে.এম. সাদেক, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, টঝঞঈ চট্টগ্রাম। চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে দুস্থ-মানবতার কল্যাণে বিশেষ অবদানের জন্য তাঁকে এই সংবর্ধনা দেয়া হচ্ছে। জনাব আলহাজ্ব রফিক আহমদ, নির্বাহী প্রধান, মমতা, চট্টগ্রাম; যিনি জীবনের সূচনালগ্ন থেকে সততা ও বিশ্বস্ততার মাধ্যমে আর্তমানবতার সেবা, শিক্ষার সম্প্রসারণ, ইসলামি সংস্কৃতির বিকাশ ও সমাজকল্যাণের ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রেখেছেন এবং রেখে চলেছেন। চতুর্থ গুণীজন এমন এক ব্যক্তি, যিনি কর্ম জীবনের প্রথমলগ্ন থেকে সততা ও বিশ্বস্ততার সাথে সাংবাদিকতা পেশা অবলম্বনের মাধ্যমে সত্যের প্রকাশ, আর্তমানবতার সেবা, শিক্ষার সম্প্রসারণ ও ইসলামি সংস্কৃতি বিকাশের ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রেখেছেন। তিনি হচ্ছেন মরহুম সাংবাদিক হেলাল হুমায়ুন। তাঁকে মরণোত্তর স্মরণ ও সংবর্ধনা প্রদান করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, ৮ নভেম্বর রোজ শুক্রবার (১) শিশু বিভাগ- শিশু থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সকাল ৯ টায় ক) ক্বেরাত প্রতিযোগীতা, সকাল ১০.৩০ এ খ) হাম্দ না’ত প্রতিযোগীতা, সকাল ১১.৩০ এ গ) ছড়া ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগীতা (২) কিশোর বিভাগ- চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত দুপুর ২.৩০ এ ক) ক্বেরাত প্রতিযোগীতা, দুপুর ৩.৩০ এ খ) হাম্দ ও না’ত প্রতিযোগীতা, বাদে আছর গ) কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগীতা এবং বাদে মাগরিব রাসূল স. এর উপর নিবেদিত কবিতা,গজল, ও না’তের আকর্ষনীয় অনুষ্ঠান শানে মোস্তফা স. চট্টগ্রাম বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স এ অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত অনুষ্ঠানে বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে সর্বস্থরের মুসলিম ভাইদের প্রতি দাওয়াত রহিল।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ