
দেশচিন্তা ডেস্ক: রাজধানীর পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট) এলাকার গণসংবর্ধনা মঞ্চে উঠেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে সেখানে পৌঁছায় তারেক রহমানের বহনকারী বাসটি। এরপর বাস থেকে নেমে মঞ্চে ওঠেন তিনি।
এদিকে তারেক রহমানকে একনজর দেখতে সড়কের দুপাশে অবস্থান নেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। পথে পথে তাদের ভালোবাসায় সাড়া দিয়ে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। ফলে কয়েক মিনিটের পথ হলেও সংবর্ধনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লেগেছে দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ।
এদিন বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে স্ত্রী-কন্যাসহ তারেক রহমানকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাকে স্বাগত জানান। সেখানে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে গুলশানের বাসায় যান।
এর কিছুক্ষণ পর বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জ থেকে বেরিয়ে এসে জুতা খুলে শিশির ভেজা ঘাস-মাটিতে পা রাখেন তারেক রহমান। এ সময় তিনি একমুঠো মাটিও হাতে তুলে নেন। এরপর বাসে করে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে গণসংবর্ধনাস্থলে রওনা হন তিনি।
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে এলাকায় গণসংবর্ধনার আয়োজন করেছে বিএনপি। কুড়িল মোড়সংলগ্ন সড়কের উত্তর পাশে দক্ষিণমুখী করে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ৪৮ ফুট বাই ৩৬ ফুটের বিশাল মঞ্চ।
এর আগে ৯টা ৫৮ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রায় এক ঘণ্টার গ্রাউন্ড টার্নঅ্যারাউন্ডের পর ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ১০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৩৬ মিনিটে) হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানে করে ঢাকার উদ্দেশে সপরিবারে যাত্রা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
২০০৭ সালের জানুয়ারিতে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় আটক হয়ে প্রায় ১৮ মাস কারাবন্দী ছিলেন তারেক রহমান। মুক্তি পাওয়ার পর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডনে চলে যান তারেক রহমান। সে বছরের ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশে আসার পথ অনেকটা বন্ধ হয়ে যায় তার। একের পর এক মামলায় জর্জরিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা হয়নি আর। অবশেষে দীর্ঘ সেই অপেক্ষার অবসান ঘটল। প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরলেন তারেক রহমান।










