
দেশচিন্তা ডেস্ক: ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে ও এর সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ করছে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজ শেষে ‘শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও লীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে’ শীর্ষক ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়।
বিক্ষোভ কর্মসূচির শুরুতে ‘আমি কে তুমি কে, হাদি, হাদি,’ ‘আমার সোনার বাংলায় খুনি লীগের ঠাঁই নাই’, ‘ফ্যাসিবাদের ঠিকনা এই বাংলায় হবে না,’ ‘আমরা সবাই হাদি হবো যুগে যুগে লড়ে যাবো’ স্লোগান দিতে থাকেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
একই সময় খেলাফত মজলিসের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখাও হাদি হত্যার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবি বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ করছে।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে। ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তিনি।
মোটরসাইকেলে করে এসে দুজন তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানা যায়, গুলি ওসমান হাদির মাথার ডান দিক থেকে ঢুকে বাম পাশ দিয়ে বের হয়ে গেছে।
এই অবস্থার মধ্যেই পরিবারের ইচ্ছায় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সবশেষ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয় ওসমান হাদিকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।













