
দেশচিন্তা নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ব শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধু একাডেমি ও চট্টগ্রাম নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য সাবিহা নাহার বেগম বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া তার কন্যা শেখ হাসিনা তৎকালীন সামরিক শাসক জেনারেল জিয়ার শত বাধা ও চক্রান্ত নসাৎ করে লক্ষ কোটি বাঙালীর ভালোবাসা নিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন। এসময় খুনী জিয়া কূটচালে শেখ হাসিনা আগমন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করে তাকে স্বদেশে আসতে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা চালায়। কিন্তু লক্ষ লক্ষ আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও জনগণ শত চক্রান্ত রুখে দিয়ে তাঁকে স্বদেশে বরণ করেন। সব হারিয়ে বিদেশে নির্বাসন থাকার সময়ে ১৯৭৭ সালে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মনোনীত হয়ে এখনও তিনি দক্ষতা ও সততার সহিত দলকে নেতৃত্বে দিচ্ছেন।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে ইউএসটিসি’র সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া বলেন, চারবারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অন্যন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এখন বিশ্বনেত্রীর মর্যাদা পেয়েছে এবং বাংলাদেশকে দারিদ্র মুক্ত করার জন্য তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক জেলা জজ এড. মঞ্জুর মাহমুদ খান বলেছেন সারা দেশব্যাপী ভেজাল বিরোধী অভিযান চলছে। এ অভিযানের মাধ্যমে যে সব শিল্প প্রতিষ্ঠান পণ্যের ভেজাল করছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দানের আহ্বান জানান। চট্টগ্রাম রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ডা. শেখ শফিউল আজম বলেন, শেখ হাসিনা এখন বিশ্বব্যাপী জননন্দিত প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে বলেন, ১৬ কোটি জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে তাকে সহযোগিতা আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু একাডেমি কেন্দ্রীয় কমিটি ও চট্টগ্রাম নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি লায়ন এ কে জাহেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও কার্যকরী সভাপতি আলী আহমেদ শাহীনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সৈয়দ দিদার আশরাফী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এড. বাসন্তী প্রভা পালিত, ১৪ দলীয় জোট নেতা স্বপন সেন, জাসদ নেতা ভানু রঞ্জন চক্রবর্ত্তী, গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমেদ, লায়ন আরশাদুর রহমান আরশাদ, এড. আশুতোষ দত্ত নান্টু, অধ্যক্ষ ড. মুহাম্মদ সানাউল্লাহ, অধ্যক্ষ শেখ এ রাজ্জাক রাজু, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশের মহাসচিব হেফাত ইসলাম চৌধুরী, সাংবাদিক বিপ্লব দাশগুপ্ত, নজরুল সঙ্গীত শিল্পী দিপেন চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন কবি আরিফ চৌধুরী, প্রভাষক সুমন দত্ত, সাংবাদিক হারুন উর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নাছির, অধ্যাপক ওসমান জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা এম.এ. সালাম, শিল্পী দিলীপ হোড়, রোজী চৌধুরী, পারভীন আক্তার চৌধুরী, জান্নাতুল নাঈম চৌধুরী রিকু, নাসির হোসাইন জীবন, এ পি সাগর, জামাল উদ্দিন কান্টু, এস.এম. শফিকুর রহমান, নুরুল হুদা চৌধুরী, ডা. দুলাল কান্তি চৌধুরী, ডা. উত্তম কুমার সরকার, ডা. আ.ম.ম নুরুল হক, ডা. ডি কে ঘোষ, সোমা মুৎসুদ্দী, শিল্পী কাকলী দাশগুপ্ত, শিল্পী নুপুর আক্তার, ইউনুচ মিয়া, মোঃ তিতাস প্রমুখ। ইফতার মাহফিল পূর্বক দেশে শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মুনাজাত করেন মাওলানা মাহবুবুর রহমান।