
দেশচিন্তা নিউজ ডেস্ক:
প্লে কার্ড, ফেসটুন, ঢোল বাদনসহ বর্ণাঢ্য র্যালী ও বেলুন উড়িয়ে শুরু হয়েছে শব্দনোঙর আবৃত্তি মেলার তিনদিন ব্যাপী বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি মেলা। আজ বিকেল ৪টায় অতিথিরা সহ অগণিত শুভানুধ্যায়ীদের অংশগ্রহণে শিল্পকলায় শুরু হয় বর্ণাঢ্য র্যালী। জেলা শিল্পকলা একাডেমীর অনিরুদ্ধ মুক্তমঞ্চে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের সভাপতি হাসান জাহাঙ্গীর এর উদ্বোধনী আবৃত্তি দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। শব্দনোঙর এর সাধারণ সম্পাদক দিলরুবা খানম এর সংঞ্চালনায় দৃষ্টিনন্দন ছিল উদ্বোধনী আবৃত্তি অনুষ্ঠান, সাথে নৃত্য ও সংগীত পরিবেশনা। আবৃত্তির সাথে গানে অংশ নেন করবী চৌধুরী, সানজিদা তারিন, বৃষ্টি পুরোহিত ও পায়েল সেন। আবৃত্তির সাথে নৃত্য পরিবেশ করেন সুরাঙ্গণ বিদ্যাপীঠের নৃত্য শিল্পীরা। মোমবাতি প্রজ্জলনের মাধ্যমে তিনদিন ব্যাপী বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি মেলার উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দেশ বরেণ্য অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম. এ. মালেক। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ অবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক মো: আহকাম উল্লাহ, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মহাব্যবস্থাপক নিতাই কুমার ভট্টাচার্য, কলকাতা শৃম্ভন্ত সভাপতি নাট্যকার রতন কুমার ঘোষ,বরেণ্য আবৃত্তি শিল্পী বেলায়েত হোসেন, সাংবাদিক আলী আহমেদ শাহিন। প্রতিবারের মত শব্দনোঙ্গর ভাষা সাহিত্যে সম্মাননা দেয়া হয় দুইজন গুণী মানুষকে। ‘শব্দনোঙর ভাষা সাহিত্য সম্মাননা পেলেন শহিদ জায়া বেগম মোশতারী শফি ও ‘শব্দনোঙর আবৃত্তি সম্মাননা পেলেন ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়’
প্রধান অতিথি এম. এ. মালেক বলেন, ‘সংস্কৃতি জীবনের কথা বলে, আবৃত্তি শিল্পীরা শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চা করেন। বাংলা ভাষার প্রসারে ও বাংলা প্রমিত উচ্চারণে বাচিক শিল্পীদের অবদান অপরিসীম। কবি কবিতা লিখে, বাচিক শিল্পীরা তা কণ্ঠে ধারণ করেন। শব্দনোঙর আবৃত্তি চর্চার পাশাপাশি দেশের গুনীজনকে ও সম্মাননা জানানোর দায়িত্ব নিয়েছে। বিশেষ করে ভাষা সাহিত্য সম্মাননা আবৃত্তি সম্মাননা অসাধারণ কাজ। আমি তাদের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। উদ্বোধক রাইসুল ইসলাম আসাদ বলেন, ‘এমন একটি বর্ণাঢ্য আবৃত্তি মেলা বঙ্গবন্ধুকে নিবেদন করে খুবই প্রশংসীয় উদ্যোগ। একশজন বাচিক শিল্পী কণ্ঠে একক কবিতা ও আমন্ত্রিত চল্লিশ জন কবির কণ্ঠে কবিতা পাঠ। এর বাইরেও আবৃত্তি গান ও নৃত্যের সমাহার। সম্মাননা প্রদান অনুসরণীয় উদ্যোগ’। প্রধান বক্তা মো: আহকাম উল্লাহ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত তিন দিন ব্যাপী আবৃত্তি মেলা অবশ্যই মহৎ আয়োজন। আবৃত্তি শিল্পীরা সর্বদাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে। শব্দনোঙর বিশাল আবৃত্তি আয়োজনে বাংলাদেশ ও ভারতের শতাধিক আবৃত্তি শিল্পী ও কবিদের একত্রিত করেছে। দিয়েছে শব্দনোঙর ভাষা সাহিত্যে আবৃত্তি সম্মাননা’।
অন্যান্য অতিথিরা বলেন, ‘প্রতি বছরের ন্যায় শব্দনোঙর আবৃত্তি সংগঠন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বর্ণাঢ্য আবৃত্তি মেলার আয়োজন করেছে তা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। দেশের প্রথম বারের মত বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত এত বড় মেলার আয়োজন করা হয়েছে’। সংগঠনের শিল্পীরা আবৃত্তি হাসান জাহাঙ্গীর নির্দেশিত ‘একটি কণ্ঠ বজ্র কণ্ঠ’ বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে। একক আবৃত্তি করে সংগঠনের সাতজন বাচিক শিল্পী। গানের সাথে আবৃত্তি করে মৌপিয়া বিশ্বাস ও মাহবুবুল্লাহ রাফী। ভারত থেকে আমন্ত্রিত শিল্পী মিতা ঘোষ ও রতন ঘোষ পরিবেশ করে শ্রতি নাটক ‘আমরি বাঙাল ভাষা’। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে আমন্ত্রিত প্রমা আবৃত্তি সংগঠন। আঞ্চলিক গান পরিবেশ করে সংগীত শিল্পী কল্পনা লালা ও ইকবাল হায়দার। আমন্ত্রিত তেরজন বাচিক শিল্পী একক আবৃত্তি পরিবেশ করে। আমন্ত্রিত কবি ছিলেন, উৎপল কান্তি বড়–য়া, জসীম মেহবুব, আরিফ চৌধুরী, আরিফা সিদ্দিকা, বাসুদেব খাস্তগীর, পুলক কান্তি ধর। আজ বিকেল ৪টা থেকে অতিথি আড্ডায় বরেণ্য কথা সাহিত্যিক সাংবাদিক নাট্যকার আনিসুল হক।