দেশচিন্তা নিউজ ডেস্ক:
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অফিসিয়েল সিক্রেটস এ্যাক্ট যুক্ত করে তথ্য অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। বিট্রিশ আমালের এই সিক্রেটস এ্যাক্ট এ পাশ হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যুক্ত করায় গণমাধ্যম কর্মীসহ বিভিন্ন মহলের গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এই আইনের মাধ্যমে তথ্য পাওয়ার অধিকার কার্যত হরণ করা হলো। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হুমকীর মুখে ঠেলে দিয়েছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দুর্নীতি ও লুটপাটের খবর যাতে গণমাধ্যমে প্রকাশ না পায় সেইজন্য এই কালো আইন করেছে। সংবিধান পরিপন্থী ডিজিটাল আইন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। তিনি আজ ২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর তাঁতীদলের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এতে তিনি আরো বলেন, সরকার জনগণের ঐক্য দেখে দিশেহারা হয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার জন্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বিএনপি নেতা কর্মীদের নামে গায়েবী মামলা দিয়ে গণগ্রেফতার শুরু করেছে। চট্টগ্রামের প্রত্যেক থানায় মিথ্যা, কাল্পনিক ও বানোয়াট মামলা দিয়ে নিরপরাধ নেতা কর্মীদের বাসাবাড়ী থেকে অমানবিক ভাবে গ্রেফতার করছে। আইনজীবি নেতা ও পেশাজীবিদের নামেও মামলা দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানকে ফাসাতে তদন্ত কর্মকর্তা বদল করে মিথ্যা সাজা দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। মুফতি হান্নানের উপর অমানসিক বর্বর নির্যাতন চালিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করেছে। সরকারের নির্দেশে মুফতি হান্নানকে ২০৩ দিন রিমান্ডে নিয়ে তার উপর সর্বোচ্চ নির্যাতন করেই তারেক রহমানের নামে স্বীকারোক্তি নিয়েছে। তিনি অবিলম্বে গায়েবী মামলা ও গণগ্রেফতার বন্ধের আহবান জানান। গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবী করেন। বাদে আছর দলীয় কার্যালয় জামে মসজিদে বেগম খালেদা জিয়ার সুসাস্থ্যা ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। শহীদ জিয়া ও আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন জামে মসজিদের খতীব মাওলানা এহসানুল হক।
চট্টগ্রাম মহানগর তাঁতীদলের সভাপতি মো. জাহাঙ্গির আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুরাদের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মান্নান, গাজী সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, নগর বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, নগর বিএনপির সদস্য মো. জাকির হোসেন, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিহয়াউর রহমান জিয়া, তাঁতী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, মানবধিকার সম্পাদক ওমর ফরুক, মো. নাজিম উদ্দিন, মো. কামাল উদ্দিন, আবুল কাসেম, সিরাজুল ইসলাম, মো. ওমর ফারুক, নূর হোসেন, সুমন হক, মো. সুমন, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।