
দেশচিন্তা ডেস্ক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. ভূঁইয়া মনোয়ার কবীর এর শেষ কর্মদিবস উপলক্ষে রবিবার (২৬ অক্টোবর) বিভাগের সভাপতির কার্যালয়ে বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী। এতে সভাপতিত্ব করেন রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. এ.কে.এম মাহফুজুল হক (মাহফুজ পারভেজ)। এসময় বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ধীরে ধীরে গুণী শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিদায় নিচ্ছেন। আমরা আগে এক সময় বিদেশে গেলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় বড় শিক্ষক প্রফেসর ড. ইউনূস, প্রফেসর ড. জামাল নজরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. আবদুল করিম স্যারদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিচয় দিতাম। এখন ওরকম নামকরা শিক্ষক খুব কম। প্রফেসর ড. মো. ভূঁইয়া মনোয়ার কবীর আমার পরের বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছে। একসাথে দীর্ঘ সময় আমরা শিক্ষকতা করেছি। উনি খুবই দক্ষ ও জ্ঞানী একজন শিক্ষক। খুবই সুনামের সাথে উনি উনার কর্মজীবন শেষ করেছেন। আমি সুস্থতার সহিত উনার অবসরোত্তর জীবন কামনা করছি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, আমি প্রফেসর ড. মো. ভূঁইয়া মনোয়ার কবীর স্যারের সরাসরি ছাত্র। পরবর্তীতে আমি শিক্ষক হওয়ার পর স্যারের অনেক কিছুই অনুসরণ করেছি। স্যারের লেকচার দেওয়ার পদ্ধতি আমি আমার ব্যক্তি জীবনে শিক্ষক হিসেবে কাজে লাগিয়েছি। স্যার ডিটেলস পড়াতেন খুব সুন্দরভাবে। একজন শিক্ষকের জ্ঞানের পাশাপাশি এনার্জিরও প্রয়োজন রয়েছে, স্যারের সেটা ছিল। আমি সময়নুবর্তিতা শিখেছি স্যার থেকে। ভূঁইয়া মনোয়ার কবীর স্যারের মতো স্যার পাওয়া খুবই দুষ্কর। আমি মনে করি শিক্ষকদের কোনো বিদায় নেই। আমি স্যারের সুস্থতা এবং দীর্ঘ হায়াত কামনা করছি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিভাগের শিক্ষক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের বিভাগের ডিন প্রফেসর ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী বলেন, প্রফেসর ড. মো. ভূঁইয়া মনোয়ার কবীর স্যার প্রায় ৪২ বছর শিক্ষকতা করেছেন। এরকম সৌভাগ্য সবার হয় না। স্যার ছিলেন অসাধারণ পাণ্ডিত্যের অধিকারী। সেই পাণ্ডিত্য-জ্ঞান তিনি শিক্ষার্থীদের মাঝে বিলিেিয় গেছেন। স্যারের বিদায়ে আমরা একাডেমিকভাবে এতিম হয়ে গেলাম। বিদায়ী শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. ভূঁইয়া মনোয়ার কবীর বলেন, আমি আমার কলিগদের প্রতি কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে উপাচার্য মহোদয় এসেছেন সময় দিয়েছেন এজন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। সবার আমার জন্য দোয়া করবেন। সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. এ.কে.এম মাহফুজুল হক (মাহফুজ পারভেজ) বলেন, প্রফেসর ড. মো. ভূঁইয়া মনোয়ার কবীর দীর্ঘ কর্মময় জীবন সুনামের সাথে শেষ করেছেন। আমরা একসাথে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। আমি প্রফেসর ড. মো. ভূঁইয়া মনোয়ার কবীর এর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রফেসর ড. আনোয়ারা বেগম, প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর মোহাম্মদ আলম চৌধুরী, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল কাইয়ুম, প্রফেসর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন মিঝি, প্রফেসর আককাছ আহমদ, সহযোগী অধ্যাপক এ.জি.এম নিয়াজ উদ্দিন ও মো. বখতেয়ার উদ্দীন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রফেসর ড. মো. ভূঁইয়া মনোয়ার কবীরকে ফুল ও উত্তরীয় দিয়ে বরণ করে নেন অতিথি ও বিভাগের শিক্ষকরা। এরপর বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন মিঝি দোয়া পরিচালনা করেন। এরপর বিভাগের শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন। শিক্ষকরা প্রফেসর ড. মো. ভূঁইয়া মনোয়ার কবীর সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করেন।
















