আজ : শনিবার ║ ২৫শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : শনিবার ║ ২৫শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║৯ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ৩রা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ক্যারিবীয় সাগরে বিশ্বের বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের নির্দেশ ট্রাম্পের

দেশচিন্তা ডেস্ক: ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) তিনি বিশ্বের বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড বিমানবাহী রণতরী ও এর সহায়ক নৌবহরকে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে মোতায়েনের নির্দেশ দেন। এই মোতায়েনের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় অঞ্চলে আরো ৮টি যুদ্ধজাহাজ, একটি পারমাণবিক সাবমেরিন এবং এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে। এতে ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্দেশ্য নিয়ে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী এ পর্যন্ত ক্যারিবীয় অঞ্চলে সন্দেহভাজন মাদকবাহী জাহাজে ১০টি বিমান ও নৌ-আক্রমণ চালিয়েছে, যেখানে প্রায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন। পেন্টাগন জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে কয়েকজন ভেনেজুয়েলার নাগরিকও রয়েছেন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি শুধু মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ নয়, বরং ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে লাতিন আমেরিকায় সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক প্রদর্শন। পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ লিখেছেন, `ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি সামরিক উপস্থিতি অবৈধ কর্মকাণ্ড শনাক্ত, পর্যবেক্ষণ ও প্রতিরোধে আমাদের সক্ষমতা বাড়াবে।

এটি যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের নিরাপত্তা ও পশ্চিম গোলার্ধের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।’ তবে তিনি রণতরীটি কখন অঞ্চলটিতে পৌঁছাবে, তা স্পষ্ট করেননি। কয়েক দিন আগেও এটি ইউরোপের জিব্রালটার প্রণালী অতিক্রম করছিল বলে জানা গেছে।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে চায়।

গত আগস্টে ওয়াশিংটন মাদুরোর গ্রেপ্তারে সহায়তা করতে পারলে ৫ কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে। তিনি অভিযোগ করেন, মাদুরো মাদক ও অপরাধচক্রের সঙ্গে জড়িত, তবে মাদুরো তা অস্বীকার করেছেন।
২০১৭ সালে কমিশনপ্রাপ্ত ‘জেরাল্ড আর. ফোর্ড’ যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধুনিক ও বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরী। এতে ৫ হাজারের বেশি নাবিক রয়েছে এবং এটি ৭৫টিরও বেশি যুদ্ধবিমান বহন করতে সক্ষম। যার মধ্যে রয়েছে এফ-১৮ সুপার হর্নেট ও ই-২ হকআই সতর্কতাবাহী বিমান।

রণতরীটিতে রয়েছে নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর এবং ইভলভড সি স্প্যারো মিসাইলসহ উন্নত মাঝারি-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, যা শত্রু ড্রোন ও বিমান প্রতিহত করতে সক্ষম।
সুত্র : রয়টার্স

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ